সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে ডাকাতের কবলে পড়েছেন জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী জেলা কমিটির ৫ নেতা। রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কের ঝাঔল এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে ডাকাতি হয়।
সোমবার (১০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি আনারুল ইসলাম।
জানা যায়, ওই ঘটনায় যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন রাজশাহী জেলা জামায়াতের শিক্ষা সম্পাদক মো. ওবায়দুল্লাহ। এতে ৭ থেকে ৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার বাদী মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, খুব বেশি হলে ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে ডাকাতি করে চলে যায়। আমরা গাড়িতে ৮ জন ছিলাম। এর মধ্যে ৬ জনের কাছ থেকে টাকা ও মুঠোফোন লুট করা হয়। গাড়ি থামানোর পর আমাদের কয়েকজনের গলায় হাঁসুয়া ধরে ডাকাতরা। কয়েকজন গাড়ির দুপাশে হাঁসুয়া নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। ওই মাইক্রোবাসে মো. ওবায়দুল্লাহর সঙ্গে ছিলেন রাজশাহী জেলা মাদরাসা পরিষদের সভাপতি ফারুক মোহাম্মদ ইসমাইল আলম, গোদাগাড়ী পৌর জামায়াতের কৃষি সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা, রাজশাহী জেলা জামায়াতের মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের সভাপতি আবদুল আজিজ ও গোদাগাড়ী পৌর জামায়াতের সভাপতি শওকত আলী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মামলার বাদী ওবায়দুল্লাহর একটি স্মার্ট ফোন, ফারুক মোহাম্মদ ইসমাইল আলমের ২৪ হাজার টাকা, গোলাম মোস্তফার দুইটি স্মার্টফোন ও ১৮ হাজার টাকা, আবদুল আজিজের একটি মুঠোফোন ও ৭ হাজার টাকা, শওকত আলীর একটি মুঠোফোন ও ৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং চালক আশেক আল রহমানের ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
এ বিষয়ে যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ওসি আনারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ডাকাতদের ধরতে পুলিশ কাজ করছে।
আরটিভি/এমকে-টি