ঢাকাসোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে মামলা

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫ , ০৮:১১ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাঈলসহ দুই সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরের দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী অভিজিৎ শীল। 

এর আগে, গত ২০ মার্চ নোয়াখালী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। 

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর মামলার বাদী সুলতানা রাবেয়া সদর উপজেলার দারুল আমান ফ্ল্যাট (উত্তর পাড়) জামে মসজিদ মার্কেটের ২ ও ৯ নম্বর দোকান মসজিদ পরিচালনা কমিটির থেকে ভাড়া দেন। প্রতিটি কক্ষের জামানত ৩ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। একই তারিখে ১০০ টাকার ৩টি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত ও স্বাক্ষর চুক্তি হয়। মামলার বাদী সেখানে সাইনবোর্ড প্রিন্ট করার মেশিন স্থাপন করে এবং ৯ নম্বর কক্ষ গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করে। ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর মসজিদ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মার্কেটের সকল দোকান ঘরের ভাড়াটিয়ার চুক্তির মেয়াদ পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা হয়। কিছু দিন আগে নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাঈল স্বপ্রণোদিত হয়ে মসজিদের আগের কমিটি বাতিল করেন। পরে নিজে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও মামলার ২ নম্বর বিবাদী সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রাজিবুল হাসান রাজিব সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।  

মামলার বিবরণে আরও বলা হয়েছে, তারা দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কিছু ভূমিগ্রাসী দালাল শ্রেণির লোকজন থেকে অন্যায় ও অবৈধ ভাবে লাভবান হয়ে বাদীসহ সকল ভাড়াটিয়াকে কোনো প্রকার নোটিশ ও পূর্ব সতর্কতা ব্যতীত উচ্ছেদ করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়। মামলার বিবাদীরা ২০২৫ সালের ১৫ মার্চ বাদীকে কোন নোটিশ না দিয়ে তাদের লোকজন নিয়ে মসজিদের দোকানঘরে অন্যায় ও অবৈধভাবে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে দোকানের সামনে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙে বাদীর দোকানসহ সকল দোকানের তালা ভেঙে নিজেরা তালা মেরে চলে যায়। 

যোগাযোগ করলে মামলার বিবাদীরা জানায়, আগের সকল ভাড়া চুক্তি বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে গেছে। কোন ভাড়াটিয়া থাকতে চাইলে এখন থেকে ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সুবিধা দিয়ে তাদের সঙ্গে পুনরায় চুক্তিবদ্ধ হতে হবে।  

বিজ্ঞাপন

মামলার আইনজীবী অভিজিৎ শীল বলেন, মামলা দায়েরের পর আদালত বিবাদীদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে আদেশ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মুহাম্মদ ইসমাঈলের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।  

তবে মামলার আরেক বিবাদী সদর উপজেলা সহকারী প্রথমিক শিক্ষা অফিসার ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান রাজিব বলেন, আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে আমি একটি নোটিশ আমি পেয়েছি। তবে ভাড়াটিয়ারা যেসব অভিযোগ করেছে তা সত্য নয়। আমরা ভাড়াটিয়াদের নিয়ে ৫ বার বৈঠকে বসেছি। তখন ভাড়াটিয়ারা কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মসজিদ কমিটি তাদের ইচ্ছামতো টাকা পয়সা খরচ করেছে। বিগত দিনের তাদের কোন হিসাব-নিকাশের কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মসজিদের নামে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। মসজিদ দোকানদারদের কাছে ১৭ লাখ টাকার ওপরে পাওনা রয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আগের কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি করা হয়েছে।  

নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, অনেক ভাড়াটিয়ার কাছে অনেক টাকা পায়, তারা এতদিন ফ্রি থাকছিলো। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।    

আরটিভি/এমকে-টি 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |