লক্ষ্মীপুরে বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পথে বাসচাপায় যুথী আক্তার (২০) ও তার দেড় বছর বয়সী ছেলে সিয়াম নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহতের স্বামী কুয়েত প্রবাসী শরিফ হোসেনসহ আরও তিনজন আহত হন।
শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল ও নিহত যুথীর বাবা রহমত উল্যাহ।
জানা যায়, শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের কাচারিবাড়ি এলাকায় শাহী পরিবহনের একটি বাস ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত যুথী সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের জব্বার মাস্টারহাট এলাকার কুয়েত প্রবাসী শরীফের স্ত্রী ও নিহত সিয়াম তার ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন—শরীফের ভাগ্নে রাজা মিয়া ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক। তবে চালকের নাম জানা যায়নি। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহত যুথীর বাবা রহমত উল্যার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুথীর বুকে ব্যথা উঠলে অটোরিকশায় করে তাকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। রিকশায় চালকসহ তার স্বামী শরীফ, ছেলে সিয়াম, ভাগ্নে রাজা ছিলেন। ঘটনাস্থলে চেয়ারকোচ জোনাকি বাসকে ওভারটেক করার সময় শাহী পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশার সবাই আহত হোন। তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এর মধ্যে ঢাকা নেওয়ার পথে শিশু সিয়াম মারা যায়। জুথী ও তার ছেলের মরদেহ সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামে বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত জুথীর বাবা রহমত উল্যা বলেন, বাসচাপায় আমার মেয়ে ও নাতি মারা গেছে। তিনজনকে ঢাকা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
সদর মডেল থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত জানা নেই।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ৫ জনকে আনা হয়। এরমধ্যে একজন হাসপাতাল আনার আগেই মারা গেছেন। অন্যদেরকে ঢাকা পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে কেউ মারা গেছে কিনা জানা নেই।
আরটিভি/এমকে-টি