চট্টগ্রামের পটিয়ায় নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে নুরুল হক (৫০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কোরবান আলীর বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (২৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ওসি আল জাহেদ নাজমুল নুর।
নিহত নুরুল হক ওই বাড়ির বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুরুল হকের সঙ্গে তার ছেলে বাবলুর পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জের ধরে নিহতের স্ত্রী ও ছেলে বউ ঈদ করার জন্য তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যান। এ দিকে গত ২ থেকে ৩ দিন ধরে নুরুল হকের ঘরের সেপটিক ট্যাংক থেকে গন্ধ বের হচ্ছিল।
ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ঘটনার দিন বাবা-ছেলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। অভিযোগ রয়েছে, বাবলুর মারধরের কারণেই নুরুল হকের মৃত্যু হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, দুই মাস আগেও বাবলু তার বাবা-মাকে মারধর করেছিল, যা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বিচার হয়েছিল।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি আল জাহেদ নাজমুল নুর বলেন, খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য (চমেক) হাসপাতালের প্রেরণ করা হয়। মরদেহের শরীরে পচন ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ২ থেকে ৩ দিন আগে মেরে মরদেহটি ফেলে দেয়। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে ও আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
আরটিভি/এমকে-টি