ঢাকামঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের রাতে ১০ বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ

নড়াইল প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫ , ০৩:০০ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ১০টি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাতে উপজেলার সাতহাজারি গ্রামে ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২ এপ্রিল) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সাতহাজিরা গ্রামের অন্তত ১০টি বাড়ির বিভিন্ন দেয়াল ভাঙা, টিনের বেড়ায় কোপানোর দাগ স্পষ্ট। ঘরের মধ্যে থাকা টিভি, ফ্রিজ, আলমারিসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের ভাঙাচুরা অংশ পড়ে আছে। 

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগীরা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের (সত্রহাজারি) বর্তমান সদস্য সাঈদ মিনারের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে সাবেক সদস্য আক্তার কাজীর। প্রায় দুপক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ৮টার দিকে আতর্কিতভাবে আক্তার কাজী তার লোকজন নিয়ে সাঈদ মিনা সমর্থক জলিল মোল্যা, মফিজুর মোল্যা, মান্নান মোল্যা, নজরুল মোল্যা, আবু তাহের মিনা, জব্বার মিনা, তারিকুল মিনা ও নাঈম মিনাসহ অন্তত ১০টি পরিবারের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে এ ভাঙচুর ও লুটপাটের করেছে। 

ভুক্তভোগীদের একজন জলিল মোল্যা বলেন, ‘বাজার থেকে বাড়ি আইসে দেখি, আমার ঘরে আর কোনো কিচ্ছুই নাই। বাক্সের তালা খোলা, ভিতরে থাকা ৫১ হাজার টাকা নেই৷ ব্যবসা করে এই টাকা গুছাইছিলাম একটা ঘর দেওয়ার জন্য। বউয়ের একটা চেইন আর কানের দুল ছিলো, তাও নিয়ে গেছে। ঘরে থাকা টিভি, ফ্রিজসহ মালামাল ভাঙচুর করে রেখে গেছে।’ 

মফিজুর মোল্যা নামে একজন বলেন, ‘আমিও রাজনীতি করিনা। শুধুমাত্র মিনা বংশের সঙ্গে আত্মীয়তা হওয়ায় আমার বাড়িতে ভাঙচুর করেছে কাজীরা। ঘরে থাকা ২১ হাজার নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং ৫ বস্তা ধনিয়া, ৫ বস্তা কলাই ও ১০ বস্তা ধান লুট করে নিয়ে গেছে৷ আমি খুব গরিব মানুষ, কামলা খেটে খায়। খায়ে না খায়ে এই মাল জিনিস বানাইছিলাম।’ 

বিজ্ঞাপন

লেকজান বেগম বলেন, ‘সোমবার রাতে কোনো কারণ ছাড়াই আক্তার কাজী লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে সব মালামাল ভাঙচুর করেছে। বাড়িতে থাকা নগদ ৩ লাখ টাকা, ৩ ভরির মত স্বর্ণ নিয়ে গেছে। এখনো আমরা আতংকের মধ্যে আছি, যে-কোনো সময় আবারও হামলা হতে পারে। প্রশাসনের কাছে আমরা এর বিচার চাই।’ 

বিজ্ঞাপন

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত আক্তার কাজী। মুঠোফোনে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না। আমি ওখানে ছিলাম না। ওরা যে অভিযোগ করছে, তা ভিত্তিহীন। তবে শুনেছি, বাড়িঘর ভাঙচুর হয়ছে এটা সত্য। কিন্তু কোনো লুটপাট হয়নি৷ আর এ ভাঙচুরও আমার লোকে করেনি। কারা করেছে জানি না। 

এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, আধিপত্য নিয়ে ওই এলাকায় দুই ইউপি সদস্যের দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে। এর আগে দুপক্ষের করা মামলা থানায় হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরটিভি/এমকে 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |