নেত্রকোণার খালিয়াজুরি ও কেন্দুয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় পৃথক দুই এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৮৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে এ দুই উপজেলায় এসব সংঘর্ষ হয়।
জানা যায়, খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার দুপুরে জেলার খালিয়াজুরি উপজেলার পাঁচহাট বড়হাটি গ্রামে বোরো জমিতে পানি সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য হারুন মিয়া ও মোশারফ হোসেনের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে দু’পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিতিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ দিকে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল-ছবিলা গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় বুধবার দুপুরে সংঘর্ষ জড়ায় দুপক্ষ। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন।
পুলিশ জানায়, বলাইশিমুল দক্ষিণপাড়া গ্রামের তাহাজ্জত মিয়া ও ছবিলা গ্রামের এজহারুল মিয়ার মধ্যে ঈদের দিন বিকেলে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে এলাকায় মাইকিং করে বুধবার সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। সংঘর্ষে অন্তত ৩৫ জন আহত হন। এতে ছবিলা গ্রামের আকাশ মিয়া, মুসলিম উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন, সাইদুর রহমান, সফিকুল ইসলাম গুরুতর আহন হন। এরমধ্যে আকাশ মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে কেন্দুয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষকালে ৬টি বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট ও দুটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরটিভি/এমকে/এস