মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে একটি স্কুলের পাশে ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার মালঞ্চ এলাকায় কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম সবুজ মোল্লা। সবুজের মামা মহসিন মিয়া মরদেহ শনাক্ত করেন।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে-সংলগ্ন লৌহজং উপজেলার মেদেনীমণ্ডল খানবাড়ি এলাকার আনোয়ার চৌধুরী উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে কার্টনে ভেতর পলিথিনে মোড়ানো অজ্ঞাত ব্যক্তির মাথা ও গলা থেকে কোমর পর্যন্ত খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানায়, সবুজ মোল্লা সাভারের যাদুরচর গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতকরা হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে মরদেহ টুকরো টুকরো করেছিল।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন কেরানীগঞ্জের মালঞ্চ এলাকায় পলিথিনে মোড়ানো একটি খণ্ড কুকুরকে টানাটানি করতে দেখেন। সেখানে মানুষের শরীরের অংশ দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ৯৯৯-এ কল করে জানালে ঘটনাস্থলে যান কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। আলামত যেন নষ্ট না হয় সে কারণে পলিথিন খুলে মানবদেহের অংশগুলো পর্যবেক্ষণ করে সিআইডি ও পিবিআইয়ের বিশেষজ্ঞ টিম।
নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সবুজ বনানীতে একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বিকেলে সাভার থানায় সবুজের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি নিখোঁজের জিডি করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে নিহতের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তারা জানতে পারেন, কেরানীগঞ্জ ও লৌহজংয়ে কার্টনে পলিথিন মোড়ানো মানুষের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপরই পরিবারের স্বজনরা সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। খণ্ডিত অংশগুলো সবুজ মোল্লার বলে নিশ্চিত করেন তারা।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) আনিসুর রহমান জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জে এ ধরনের মানবদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে কাজ করে সিআইডি ও পিবিআই। পর্যবেক্ষণ শেষে বিশেষজ্ঞ টিম মুন্সীগঞ্জে যায়। খণ্ডিত অংশগুলো একই ব্যক্তির বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়।
মুন্সীগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, কার্টনে পলিথিনে মোড়ানো অজ্ঞাত ব্যক্তির খণ্ডিত অংশ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম সবুজ মোল্লা। তিনি সাভারের যাদুরচর গ্রামের ইউনুস মোল্লার ছেলে। নিহতের মামা মহসিন মিয়া তার মরদেহ শনাক্ত করেন। ধারণা করা হচ্ছে, ঘাতকরা হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে মরদেহ টুকরো টুকরো করেছিল।
আরটিভি/এফএ/এস