বিয়ের দাবিতে এক কলেজশিক্ষার্থী তার প্রেমিক রেদোয়ান হোসেন জিহাদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মিঝিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থল গেলে, জিহাদের বাসার দরজার সামনে তরুণীকে বসে থাকতে দেখা যায়। তবে দরজায় তালা লাগানো ছিল। জিহাদসহ তার পরিবারের কেও বাড়িতে নেই।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে বিয়ের দাবিতে ওই বাড়িতে অবস্থান নেয় প্রেমিকা। প্রেমিক জিহাদ মিঝিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
তরুণী ও যুবকের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে জিহাদের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
এর মধ্যে বিভিন্ন সময় তারা শারীরিক সম্পর্কেও জড়ায়। সম্প্রতি (ঈদের পর) তারা ঘুরতে নোয়াখালী যায়। সেখানেও তাদের শারীরিক সম্পর্ক হয়।
সেখান থেকে ফিরে ওই তরুণী জিহাদের বাড়িতে এসে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়।
সেখানে মেয়েটিকে মারধর করে ছেলের মা। একপর্যায়ে মেয়ের হাত থেকে ছেলের বন্ধুরা মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়। জিহাদ দুইদিন ধরে পলাতক বলে জানিয়েছে তরুণী।
তরুণীর দাবি, বিয়ে ছাড়া তার কাছে আর কোনো উপায় নেই। জিহাদের সঙ্গে তার দেড় বছরের সম্পর্ক।
বিয়ে তাকে করতেই হবে। জিহাদ এখন পালিয়ে গেছে। সে তার মানসম্মান নষ্ট করেছে, এজন্য জিহাদের তাকে বিয়ে করতেই হবে।
এদিকে জিহাদের পরিবারের দাবি, খালি বাসার সামনে এসে মেয়েটি অবস্থান নেয়। তখন বাসায় কেও ছিল না। পরিকল্পিতভাবে মেয়েটি মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে জিহাদের মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে তার বড় ভাই জামাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটির আগে দুইবার বিয়ে হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমার ভাইয়ের সঙ্গে কিছুদিন হলো তার সম্পর্ক হয়। এরমধ্যে পরিকল্পিতভাবে সে আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নিয়েছে। এর সঙ্গে তার মাসহ পরিবারের সদস্যরা জড়িত আছে।
তরুণীর ভাই রিয়াজ উদ্দিন বলেন, সে আমাদের বোন ছিল। এখন সে আমাদের বোন না। তার ব্যাপারে আমরা কোনো কিছু জানি না।
কমলনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল হাসান বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। কেও আমাদের জানায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এএএ