বরগুনার আমতলীতে কলাগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আলমগীর প্যাদা (৪২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলমগীর প্যাদা ওই গ্রামের মৃত মোনসের আলী প্যাদার ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার আঠার গাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী প্যাদার ছেলে আবুল প্যাদা তার বাড়ির দরজায় ৫টি কলাগাছ রোপণ করেন। একই বাড়ির হাবিল প্যাদা ওই জমি তার দাবি করে দরজায় লাগানো ৫টি কলাগাছ বৃহস্পতিবার বিকেলে কেটে ফেলেন। এ নিয়ে শুক্রবার রাতে উভয়পক্ষ বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। বাগবিতণ্ডার শব্দ শুনে একই বাড়ির মৃত মোনসের আলী প্যাদার ছেলে আলমগীর প্যাদা ঘরের বাইরে এসে তাদের বাকবিতণ্ডা থামানোর চেষ্টা করেন।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা হোচেন প্যাদা, চাচাত ভাই হাবিল প্যাদা ও ভাতিজা শাহারুল প্যাদার নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে বাঁশের লাঠি দিয়ে আলমগীর প্যাদার ওপর হামলা শুরু করেন। হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে আলমগীর প্যাদা অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরার পর হাবিল প্যাদা, হোচেন প্যাদা ও শাহারুল প্যাদা আলমগীর প্যাদার বুকে আঘাত করেন। তাকে রক্ষার জন্য ভাতিজা জুলহাস প্যাদা (২৮) এবং ভাতিজি শাহিনুর বেগম (৩২) এগিয়ে গেলে হাবিল প্যাদার লোকজন তাদেরকেও পিটিয়েও জখম করেন। তাৎক্ষণিক স্বজনরা গুরুতর আহত আলমগীর প্যাদা, জুলহাস প্যাদা ও শাহিনুর বেগমকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আলমগীর প্যাদাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং জুলহাস ও শাহিনুর বেগমকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খবর পেয়ে পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ আলমগীর প্যাদার লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে শনিবার দুপুরে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। শনিবার সকালে আমতলী থানার পুলিশ পশ্চিম সোনাখালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হোচেন প্যাদাকে তার বাড়ি থেকে আটক করেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে আমি এবং আমমতলী-তালতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলামকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় হোচেন প্যাদা নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি
চলছে।
আরটিভি/এএএ/এআর