‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল-ইপিজেডের ভেতরে কয়েকটি পোশাক কারখানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে আদমজী ইপিজেডের কর্মকর্তা মুনসুর হাওলাদার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন বলে জানান সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওসি শাহীনূর আলম।
মামলায় ইপিজেডে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও নিরাপত্তা কর্মীদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদনও করা হবে বলে জানান ওসি শাহীনূর আলম।
এর আগে শনিবার বিকেলে কারখানা বন্ধ রেখে ‘মার্চ ফর গাজা’ মিছিলে যোগ না দেওয়ায় কয়েকশ লোক ইপিজেড এলাকায় ঢুকে পোশাক কারখানাগুলোতে হামলার ও ভাঙচুর চালায় বলে জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে শনিবার নারায়ণগঞ্জের শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সেলিম বাদশা বলেন, ইপিজেডের ভেতরে ইউনেস্কো বিডি লিমিটেড ও অনন্ত হুয়াশিং লিমিটেড নামে দুটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। এ সময় লুটপাটের অভিযোগও পাওয়া গেছে। আশেপাশের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অন্তত ৪৫ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী। যাদের বয়স ১২ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হামলাকারীরা ইপিক গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং কোং লিমিটেড, ইউনিক বিডি লিমিটেড, সিম্মা ইউনিট-২ এবং অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেডে ভাঙচুর চালান। অনন্ত হুয়াজিং লিমিটেড কারখানাটির প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে নিরাপত্তা কর্মীকে মারধরও করা হয়।
কারখানা বন্ধ না করলে জ্বালিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন হামলাকারীরা। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী পরিস্থিতি শান্ত করে।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান বেলা ১২টার দিকে বলেন, ইপিজেডে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের আদালতে তোলা হবে।
আরটিভি/এএএ/এআর