একক স্ক্রলচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে গ্রাম-বাংলার হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস ঐতিহ্য এবং লোকজ সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ও চারুশিল্পী অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান। তিনি তৈরি করেছেন ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২ ফুট প্রস্থের এই শিল্পকর্মটি। যা প্রদর্শিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে। বাংলাদেশে এত বড় একক স্ক্রলচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন আগে হয়নি বলে জানান দর্শনার্থীরা। এই একক স্ক্রলচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
আবহমান বাংলার প্রকৃতি, হারানো লোকজ-ঐতিহ্য, বিভিন্ন উৎসব যেমন বাংলা নববর্ষ, নবান্ন, পৌষসংক্রান্তি, কারুশিল্প, মৃৎশিল্প, লোকমেলা, লোকসংগীত, লোকসাহিত্য, ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা, শৈশব, মাছধরা, প্রাত্যহিক ব্যবহৃত বিষয়বস্তু ফুটে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহানের একক স্ক্রলচিত্রে। তিনি একজন চারুশিল্পী হিসেবে এসব বিয়বস্তকে নিয়ে ক্যানভাস পরিতলে দুমাসের প্রচেষ্টায় ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ২ ফুট প্রস্থের (মিশ্রমাধ্যম) একটি স্ক্রলচিত্র অঙ্কন করেছেন।
স্ক্রলচিত্রে প্রাচীন ঐতিহ্যের বিষয়গুলো আবার নতুন করে ফিরিয়ে এনেছেন অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান।
বাংলার যে সংস্কৃতিগুলো ছিল, আমরা ছোটকালে যা পালন করে এসেছি তা এই শিল্পকর্মটিতে উঠে এসেছে। অনেক দর্শনার্থী স্ক্রলচিত্রটি দেখে শৈশবে ফিরে গিয়ে আবেগে আপ্লুত হওয়ার কথাও জানান।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবদুস সোবাহান বলেন, আমাদের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় যে কর্মগুলো করে থাকি আমরা আমি সেগুলোর সঙ্গে প্রাত্যহিক ব্যবহৃত বিষয়বস্তু ও গ্রামীণ জীবনযাত্রার হারিয়ে যাওয়া বিষয়গুলোকে এক করে ২ মাসব্যাপী সময় নিয়ে ৩০০ ফুট দৈর্ঘ্যের ও ২ ফুট প্রস্থের এই স্ক্রলচিত্রটি তৈরি করেছি।
উল্লেখ্য, বাংলা ১৪৩২ সালের প্রথম দিনে অর্থাৎ নববর্ষের দিনে এই একক স্ক্রলচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব।
আরটিভি/এমকে