লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১৮ দিন পার হলেও অপহৃত স্কুলছাত্রীকে (১৩) উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হলেও কাউকেই গ্রেপ্তার হয়নি বলে অপহৃতের পরিবারের অভিযোগ।
অপহৃত কিশোরী রায়পুর এলএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী ও পৌরসভার পশ্চিম কেরোয়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্ত শামিম রামগঞ্জের চন্ডিপুর ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। অপর অভিযুক্তরা হলেন শামিমের বাবা আবুল কালাম ও ভাই মো. সবুজ।
থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ২৮ মার্চ রাতে স্কুলছাত্রী নানার বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। পথিমধ্যে এলএম পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে অভিযুক্তরা তাকে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিকশাযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ মিলছে না। পরে ঘটনা জানতে পেরে অভিযুক্ত শামীমের বাড়িতে ছাত্রীর বাবা যায়। শামিম বাড়িতে না থাকায় অপর অভিযুক্ত আবুল কালাম ও সবুজকে জিজ্ঞেস করলে তারা বাদীকে হত্যা ও ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ গুমের হুমকি দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
ছাত্রীর বাবা বলেন, শামীম স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমার বাসায় ভাড়া থাকতো। সেই সুবাদে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মেয়েকে উত্যক্ত করতো। ঘটনাটি মেয়ে আমাকে জানায়। এতে তাকে বাসা ছেড়ে যেতে বলি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমার মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। আমি সুস্থ অবস্থায় মেয়েকে ফেরত চাই। প্রশাসনের আন্তরিকতা থাকলে আসামিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন?
বক্তব্য জানতে মো. শামিমের মোবাইলফোনে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হায়াত উল্যাহ বলেন, অপহৃতকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আরটিভি/এএএ