কিশোরকে আটকে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৫

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ , ০৫:৪৭ পিএম


কিশোরকে আটকে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গ্রেপ্তার ৫
ছবি: আরটিভি

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় এক কিশোরকে আটকে রেখে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।  

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের মহি উদ্দিনের ছেলে ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল্লা আল মামুন (২৫), একই ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো.মনিরুল ইসলাম ওরফে আকাশ (২১), একই ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়ির মৃত তাহেরের ছেলে মো. পারভেজ হোসেন (৩০) নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ফয়েজ উল্যাহ মেম্বার বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে অহিদুল ইসলাম (২৪) ও বাটইয়া ইউনিয়নের রশিদ দর্জি বাড়ির মো. সালাউদ্দিনের ছেলে মো.ইউনুস হোসেন রাজু (২২)।  

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, সোমবার ১৪ এপ্রিল উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো.তাফসীরুল ইসলাম ওরফে রাফসানকে (১৯) দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আটক করে রাখে গ্রেপ্তার আসামিরা। আসামিরা ভিকটিমকে মাদকসহ আটক করে বলে দাবি করে। এরপর আটক কিশোরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে কল করে প্রথমে ডিবি ও পরে সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে তার বাবার কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার ছেলেকে মারধরের হুমকি দেয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দাবিকৃত টাকা বাটইয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চারটেক মসজিদের সামনে রাখার জন্য বলে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা তাদের জন্য ৭০হাজার টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কিন্ত প্রশাসনের লোক আছে বলে স্থান পরিবর্তন করতে থাকে চাঁদাবাজরা। পরবর্তীতে ভিকটিমকে মাইজদী নিয়ে ডিবি পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছি বলে জানায়। এতে রাফসানের বাবার তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর  ৯৯৯ এ করেন। একই সাথে তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোবাইলের কল রেকর্ড শুনে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসা বাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনার সততা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা মো. সফি উল্যাহ (৬০) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৩-৪ জনকে।  

কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মন্জুর আহমদ বলেন, এ ঘটনায় চাঁদাবাজি আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। পলাতাক রাকিব নামে অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।  

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এএএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission