ঢাকাবৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

শ্রীপুরে মোমবাতির আলোয় পরীক্ষা দিলো শিক্ষার্থীরা 

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ , ০৮:৪৪ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

বৃষ্টি শুরু হলেই হঠাৎ চলে যায় বিদ্যুৎ। টিনের চাল ও টিনের বেড়াবেষ্টিত অন্ধকার কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। অনেক পরীক্ষার্থী উত্তর জানা থাকলেও অন্ধকার থাকায় উত্তরপত্রে লিখতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরীক্ষা কক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে খাতায় লিখতে না পারায় ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার হাজী ছোট কলিম উচ্চবিদ্যালয় এন্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ঘটনা এটি। ওই কেন্দ্রে প্রায় এক হাজার ৯১৭ জন পরীক্ষার্থী এবছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। 

পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভাষ্যমতে, বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু হলে আনুমানিক সাড়ে ১১ টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। ওই কক্ষের জানালার পাশে যেসব শিক্ষার্থী বসেছিল তারা কেউ কেউ আলোতে উত্তরপত্রে লিখতে পারলেও যেসব পরীক্ষার্থী জানালা থেকে দূরে রয়েছে অন্ধকার হাওয়ায় তারা উত্তরপত্রে লিখতে ব্যর্থ হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

এদিকে, প্রায় আধা ঘণ্টা পরও বিদ্যুৎ না আসায় কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদেরকে মোমবাতি সরবরাহ করেন।

পরীক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যুৎহীন থাকার কারণে সময় নষ্ট হওয়ায় তারা পর্যবেক্ষক ও কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে মানবিক কারণ উল্লেখ করে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে সুযোগ না দিয়ে যথাসময়ে দুপুর ১টায় উত্তরপত্র নিয়ে নেন। 

কেন্দ্র সচিব আব্দুল হান্নান সজল সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগটি সঠিক নয়। তবে পরীক্ষা কেন্দ্রে দুটি ছাপরা ঘর রয়েছে। জেনারেটরের ব্যবস্থা নেই। পরীক্ষা চলাকালে ২০ মিনিট বিদ্যুৎ ছিল না। তখন পরীক্ষার্থীদের মোমবাতি সরবরাহ করা হয়েছে।  

বিজ্ঞাপন

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ জানান, বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া বৃষ্টির কারণে অন্যান্য কেন্দ্রেও বিদ্যুতের কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। জানার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সমাধান করা হয়েছে। ওই কেন্দ্র থেকে তখন আমাকে জানানো হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করতাম। যেহেতু বৈশাখ মাস বৃষ্টির সময়, তাই পরবর্তী পরীক্ষাগুলো চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে জেনারেটর রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

আরটিভি/এএএ-টি 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |