কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৬ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় হাজিরা দিতে আসেন ২২ জন আইনজীবী। চারজন বাদে বাকিদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পলাতক দুজনকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহবুবুর রহমান এ নির্দেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আইনজীবীরা হলেন–কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, সাইফুল ইসলাম। এ ছাড়াও আইনজীবী মো. মহিন ও মো. সোহাগ পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতে আসামিদের প্রিজনভ্যানে ওঠানোর সময় ডিম নিক্ষেপ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় বারের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের মাথায়ও ডিম পড়ে। পরে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় তাদের প্রিজনভ্যানে উঠিয়ে তড়িঘড়ি করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ সালাউদ্দিন ও আব্দুল মোমেন ফেরদৌসসহ চার জন। আর বাদী পক্ষে উপস্থিত ছিলেন জেলা পিপি কায়মুল হক রিংকু, বদিউল আলম সুজনসহ আনুমানিক ৩০ জন আইনজীবী।
জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট কুমিল্লা পুলিশ লাইনস এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বহু ছাত্র-জনতা আহত হন। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর কুমিল্লা নগরীর পুলিশ লাইনস এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণসহ হামলার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারসহ ২৬১ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
জেলা আদালতের ইন্সপেক্টর মো. সাদেকুর রহমান বলেন, আদালত ৬ জন আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে দুজন পলাতক রয়েছেন। উপস্থিত বাকি ১৮ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। আমরা ৪ জন আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছি। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
পিপি কায়মুল হক রিংকু বলেন, এ মামলায় বাদী পক্ষ সব আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন জানায়। এ সময় আদালত ছয় জনকে কারাগারে পাঠান। বাকিদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরটিভি/এমকে-টি