জুলাই বিপ্লবে নিহত জামালপুরের বকশীগঞ্জের শহীদ রিপন মিয়ার মরদেহ উত্তোলনে বাধা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) আদালতের নির্দেশে বাট্টাজোড় ইউনিয়নের পানাতিয়া গ্রামে শহীদ রিপনের মরদেহ তুলতে গেলে তার বড় ভাই মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মরদেহ উত্তোলনে বাধা প্রদান করেন। পরে বাদীর বাধার মুখে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলাম৷
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে আমরা রিপন মিয়ার মরদেহ উত্তোলন করতে এসেছিলাম। কিন্তু শহীদ রিপনের বড় ভাই ও মামলার বাদী সরকার আকতার হোসেন এতে বাধা প্রধান করেন। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতের পরবর্তী নির্দেশের পর কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই খাইরুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবে নিহতের পর রিপনকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। তাই বিজ্ঞ আদালতে মরদেহ উত্তোলনে আবেদন করা হলে গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট রিপনের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে আমরা মরদেহ উত্তোলন করতে আসি।
মামলার বাদী ও রিপনের বড় ভাই সরকার আকতার হোসেন বলেন, রিপন গুলি খেয়ে মারা গেছে, এটার প্রমাণ আছে। মরদেহ উত্তোলনের ব্যাপারে আমাকে আগে কিছুই বলা হয়নি। তাই বাধা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর উত্তরায় জুলাই বিপ্লবে অংশ নিয়ে গুলিতে মারা যান বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রিপন মিয়া। পরে উত্তরা পূর্ব থানায় শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন রিপনের বড় ভাই সরকার আকতার হোসেন।
আরটিভি/এমকে