শিগগিরই অবৈধভাবে দখলকৃত সব সরকারি ভূমি মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) কক্সবাজারের বাকখালী নদীর তীরে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা একথা বলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দকৃত কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় (ইসিএ) অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিধি লঙ্ঘিত হলে তা আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে। সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই না টানলে, এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে। বর্তমান সরকারের সীমিত সময় বিবেচনায় আমরা কয়েকটি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করছি।
রিজওয়ানা বলেন, কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানায় নেওয়া ও ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ জমি ফেরত আনা হচ্ছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
আরটিভি/এমএ/এস