গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দিনে অভিযান চালিয়ে দুই মিষ্টি কারখানায় ২ লাখ টাকা জরিমানা ও সিলগালা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিল আফরোজ। কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতেই চালু করা হয়েছে সেই দুই কারখানা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেছেন জেলা খাদ্য নিরাপত্তা অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শিমুলতলী এলাকায় ওই কারখানায় গিয়ে এমনি চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শিমুলতলী এলাকায় সুমন মিষ্টান্ন সুইটস ও ভাই ভাই মিষ্টান্ন কারখানায় অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশ ও কেমিক্যাল মিশ্রিত মিষ্টি, দই, সন্দেশ, জিলাপি বানানো হচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা নিরাপত্তা খাদ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসন মিলে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় হাতেনাতে ওই কারখানায় কেমিক্যাল মিশ্রিত মিষ্টান্ন বানানো হচ্ছে। এবং কারখানার কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় দুই কারখানাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করেন অভিযানের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট দিল আফরোজ। কারখানার কর্তৃপক্ষ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রাত সাড়ে সাতটার দিকে চালু করেছে কারখানাগুলো।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা নিরাপত্তা খাদ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তা ফারজানা ইয়াসমিন সোনিয়াসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পুলিশ সদস্যরা।
সুমন মিষ্টান্ন কারখানায় মালিক বলরাম জানান, কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে তেমন কোনো নির্দেশনা পায়নি। ওই সময় আমার তালা দিয়েছিলাম। আর ভেতরে অনেক মিষ্টি রয়েছে। খোলা না রাখলে নষ্ট হয়ে যাবে।
অভিযানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিল আফরোজ জানান, কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। সেগুলো কিভাবে খোলা রেখেছে। আপনি একটু ভিডিও করে রাখেন। আর ওনাদেরকে একটু বলেন কিভাবে খুলেছে।
আরটিভি/একে