ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

নিখোঁজের ১৭ দিন পর রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ , ১০:৪২ এএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর জয়াগের বর্মণবাড়ির পাশের ডোবা থেকে একটি গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) বিকেলে সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ সড়কের লাগোয়া একই এলাকার আবদুল আউয়ালের জায়গার ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। 

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোরশেদ আলম।

নিহত রাহেদ পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপুর জেলার রামচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের ইউসুফ কামালের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার বর্মণবাড়ির খোকন চন্দ্রের ছেলে জুয়েল চন্দ্র বর্মণ ডোবার পাশে মাছের পোনা ছাড়তে গেলে ডোবায় কালো রঙের একটি প্যান্ট ও কোমরে গামছা প্যাঁচানো পচা মরদেহ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার হারুন-অর-রশিদকে জানানো হলে তিনি সোনাইমুড়ী থানাকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ গলিত মরদেহটি উদ্ধার করে।

এ সময় সংবাদ পেয়ে পার্শ্ববর্তী রামচর ইউনিয়নের দক্ষিণ কালিকাপুর গ্রামের ইউসুফ কামালসহ (৫৫) তার আত্মীয়-স্বজনরা মরদেহের পরনে থাকা প্যান্ট, কোমরের বেল্ট ও পুরাতন গামছা দেখে গলিত মরদেহটি তার ছেলে রাহেদ হোসেনের বলে শনাক্ত করেন। 

এ সময় ইউসুফ কামাল জানান, তার ছেলে রাহেদ অটোরিকশা চালাত। গত ২ মে রাত থেকেই রাহেদ নিখোঁজ থাকায় বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। মরদেহটি পাওয়ার সংবাদ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। 

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া স্থানীয় একটি সূত্রে জানা যায়, গত ৮ থেকে ৯ দিন আগে জয়াগ বাজারের পশ্চিমে পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যাটারিবিহীন একটি অটোরিকশা সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ উদ্ধার করে। 

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়দের ধারণা, পূর্বশত্রুতা কিংবা স্থানীয় গুরুতর কোনো অপরাধ প্রত্যক্ষ করায় অপরাধীরা রাহেদকে খুন করে মরদেহ ফেলে গেছে।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোরশেদ আলম বলেন, পুলিশ মরদেহটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি ও ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

আরটিভি/এমকে-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |