ঢাকারোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২

ঝিনাইদহের পৌরসভাগুলোতে সেবার নামে প্রহসন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫ , ১০:৪৯ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

ঝিনাইদহের পৌরসভাগুলোতে নাগরিক সুবিধা নয়, বরং দুর্ভোগই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। নিয়মিত পৌর কর প্রদান করেও নাগরিকরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা। রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ, পরিচ্ছন্নতা সব ক্ষেত্রেই বিরাজ করছে সীমাহীন অব্যবস্থা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এসব পৌরসভা যেন শুধু কর আদায়ের যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ঝিনাইদহের মোট ৬টি পৌরসভা। এর মধ্যে হরিণাকুন্ডু পৌরসভা দ্বিতীয় শ্রেণির। বাকি ঝিনাইদহ সদর, শৈলকুপা, মহেশপুর, কোটচাঁদপুর ও কালীগঞ্জসহ ৫টি পৌরসভাই প্রথম শ্রেণির। এই পৌরসভাগুলোতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষ বসবাস করেন, যাদের অধিকাংশই প্রতিনিয়ত নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।

ঝিনাইদহ পৌর এলাকা ঘুরে দেখা যায় পুরো এলাকার সড়কজুড়ে খানাখন্দ। বর্ষায় এসব রাস্তায় চলাফেরা রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। পৌরসভার সামনেই নেই সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা। পরিস্থিতি দেখে মনে হয়, জনদুর্ভোগ নয়, বরং উদাসীনতাই যেন প্রশাসনের অভ্যস্ততা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে মহেশপুর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ, শৈলকুপা ও হরিণাকুন্ডু পৌরসভায়ও চিত্র একই। বছরের পর বছর কোনো সড়ক সংস্কার হয়নি। অনেক এলাকায় নেই সড়কবাতি, ফলে রাত নামতেই পুরো শহর ঢেকে যায় অন্ধকারে। পৌর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা সবকিছুতেই চোখে পড়ে চরম বিশৃঙ্খলা।

স্থানীয়রা বলছেন, কর দিয়ে শুধু দায়িত্ব পালন করছেন তারা, কিন্তু সেবার জায়গায় অব্যবস্থা ছাড়া কিছুই পাচ্ছেন না। অনেকেই বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদের সেবাও এর চেয়ে ভালো।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর পৌর এলাকার বাসিন্দা রাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন রাস্তায় চলতে গিয়ে পায়ে কাদা লাগে, কখনো পড়ে গিয়ে আহতও হয় মানুষ। বছরের পর বছর ধরে একই অবস্থা। আমরা কর দিই, কিন্তু সেবা কই? দীর্ঘদিন ধরে সড়ক সংস্কার হয়নি।

বিজ্ঞাপন

মহেশপুর পৌরসভার স্থানীয় বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, আমাদের এলাকায় সন্ধ্যার পর ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়েছে। চারদিকে অন্ধকার, রাস্তার অবস্থাও খারাপ। পৌরসভার লোকজন আসলে শুধু কর তুলতে জানে, কাজের বেলায় নেই।

বিজ্ঞাপন

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, নামমাত্র উন্নয়ন কার্যক্রম দিয়ে মানুষের চোখে ধুলা দেওয়া যাবে না। সময় এসেছে বাস্তব নির্ভর টেকসই পরিকল্পনায় এগিয়ে যাওয়ার।

ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায় জানান, পৌরসভাগুলোর উন্নয়ন কার্যক্রম নিজস্ব অর্থায়নে চলে। ইতোমধ্যে প্রশাসকদের জরুরি প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আরটিভি/এএএ/এআর

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |