রাজবাড়ীর কালুখালীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ডাকাতচক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা।
শনিবার (২৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের জামালপুর মুড়িকাটা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- কালুখালী উপজেলার সাওরাইল ইউনিয়নের জামালপুর এলাকায় চিহ্নিত মজনু গ্রুপের চাঁদাবাজ ও ডাকাত চক্রের সদস্য ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মৃত কেচমত আলীর ছেলে এবং সাওরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মজিবর রহমান (৬৭), মজিবুর রহমানের ছেলে মো. আবু সায়েম (৩০), মজিবুর রহমানের স্ত্রী মোছা. সাজেদা খাতুন (৫৩), একই ইউনিয়নের আলমডাঙ্গা গ্রামের লালচাঁন আলীর ছেলে মো. জসিম মন্ডল (৩৪) ও মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার শ্রীপুর ইউনিয়নের খড়িবাড়িয়া গ্রামের মো. হাসেম আলী মোল্লার ছেলে মো. সুলতান আলী মোল্লা (৩৭)।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাজবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের বিএ ৮৪১৫ মেজর মো. আবিদ হাসান পিএসসি, জি (৮ ফিল্ড রেজিঃ আর্টিঃ) এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোরে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে কালুখালী উপজেলার জামালপুর সাওরাইল এলাকায় চিহ্নিত মজনু গ্রুপের চাঁদাবাজ ও ডাকাত চক্রের প্রধান সদস্য মো. মজিবুর রহমানসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় গ্রেপ্তারকৃত সাওরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে একটি একনলা বন্দুক, ২টি ওয়ান শুটার গান, একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল, ১৫ রাউন্ড তাজা গুলি, ২টি বিদেশি মদের বোতল, ১টি কাঠের তৈরি হকিস্টিক, ১টি বেটন, ইসলামী ব্যাংকের ২টি চেক বই, ৩টি পার্সপোট, ৩টি স্মার্টফোন, বাটন মোবাইল ৩টি, ৩টি জাতীয় পরিচয়পত্র, ১টি ইসলামী ব্যাংকের ভিসা কার্ড, ১টি খুর, ১টি চাকু, ১টি লেজার লাইট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা মজনু গ্রুপের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে পাংশা ও কালুখালী উপজেলায় সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজী এবং ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল বলে থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
অভিযান শেষে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি পরবর্তী আইনি কার্যক্রম সম্পূর্ণের জন্য কালুখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরটিভি/এএএ