লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জে ৯টি এজাহারভুক্ত ওয়ারেন্টের আসামি সন্ত্রাসী ইমরানকে গ্রেপ্তার করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের টুইন টাওয়ারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান চন্দ্রগঞ্জ ইউপির দেওপাড়া গ্রামের করিম উদ্দিন মোল্লা পুরাতন বাড়ির তাজুল ইসলাম সুমনের ছেলে। ইমরানের বাবার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার চাটখিলে। দেওপাড়া তার নানার বাড়ি। তিনি চন্দ্রগঞ্জের আলোচিত ডাকাত নাছিরের ভাগ্নে।
জানা যায়, টুইন টাওয়ারের সামনে চাঁদাবাজি করতে গেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইমরানকে গ্রেপ্তার করে। তার নামে অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মাদকসহ মোট ৯টি মামলা ও একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এ ছাড়াও গত ২৮ এপ্রিল নোয়াখালীর ছয়ানী ইউনিয়নের গঙ্গাবর বাজারে শাকিল হত্যাকাণ্ডেও তার উপস্থিতি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় মর্মে তথ্য পাওয়া যায়।
ইমরান গত ৫ আগস্টের পর থেকে চন্দ্রগঞ্জ বাজার ও আশেপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ, চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার কারণে চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের মোল্লাবাড়ির সামনের অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তার মামা মাসুদ ও তার বাবা তাজুল ইসলাম সুমনের অত্যাচারেও এলাকাবাসী নিরুপায়।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম বলেন, অনেক দিন থেকেই ইমরানকে গ্রেপ্তার করার অভিযান চলছিল। আজকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের টুইন টাওয়ার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বিভিন্ন ধারায় ৯টি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভূক্ত আসামি।
আরটিভি/এএএ-টি
