শহীদ জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্র সংস্কার শুরু করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ।
রোববার (১ জুন) বরিশাল নগরীতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনে ৪ দিনব্যাপী কর্মসূচির তৃতীয় দিনে আয়োজিত পৃথক পৃথক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এসময় রহমাতুল্লাহ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ভঙ্গুর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে প্রথম স্ব-নির্ভর বাংলাদেশে পরিণত করেছিলেন। তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার আগে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা এই দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছিল।
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক অধিকার, ভোটের অধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার এমনকি ধর্মীয় অধিকার হরণ করে দেশের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্খাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছিল। সেখান থেকে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে উদ্বার করেছিলেন।
রহমাতুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কারের নাম করে গত সাড়ে ৯ মাসে যা করেছে তাতে দেশের মানুষ আশাহত হয়েছে। চব্বিশের গণঅভ্যুথানের যে আকাঙ্ক্ষা সেই আকাংঙ্খা বাস্তবায়নে সরকারের বাস্তবমুখী অনভিজ্ঞতার কারণে এগোচ্ছে না।
নগরীর ২৫নং ওয়ার্ডে মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাজিক দাঈয়ান ঈশতীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য জাহিদুর রহমান রিপন, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক মিলন চৌধুরী, নগর ছাত্রদলের সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান উজ্জ্বল, স্বাধীনতা ফোরাম, মহানগরের সদস্য সচিব নাজমুস সাকিব প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন নগর ছাত্রদল নেতা ইউসুফ আলী বাপ্পি।
শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হেমায়েত হোসেন মুরাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সামসুল কবির ফরহাদ, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আসিফ আল মামুনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ইলিয়াস আহমেদ।
টুঙ্গীবাড়িয়া ইউনিয়নে বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সঞ্চালনায় ছিলেন ছাত্রদল নেতা কেএম মনির ও জাহিদুল ইসলাম শাকিল।
আরটিভি/একে