১৬ জেলে নিয়ে সাগরে ডুবে যায় মাছ ধরার ট্রলার

কুয়াকাটা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

বুধবার, ১১ জুন ২০২৫ , ০৪:১২ পিএম


বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলারডুবি, ১৬ জেলে উদ্ধার 
ছবি: আরটিভি

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৬ জেলেকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। সামুদ্রিক মাছ আহরণের উপর সরকারের ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা ১১ জুন মধ্যরাতে শেষ হবে। এই শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরতে গিয়ে বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় ‘এফবি আনোয়ারা’ নামের একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (১০ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনার ঘটে। ট্রলারটিতে থাকা ১৬ জন মাঝিমাল্লা প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। 

উদ্ধার হওয়া জেলেদের ভাষ্যমতে, কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের চাপলি বাজার এলাকা জাহিদ ব্যাপারীর মালিকানাধীন ট্রলার নিয়ে সোমবার বিকেলে সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্য গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেন। লক্ষাধিক টাকার রসদ নিয়ে তারা সমুদ্রে নামেন। যাত্রা পথেই এ ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলারটির বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার বিকেল থেকে ট্রলারটি ঢেউয়ের তোড়ে ফেটে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে। পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচেও কাজ হয়নি। একপর্যায়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ট্রলারটি ডুবে যায়। ডুবির পরপরই ট্রলারে থাকা জেলেরা মালিকপক্ষকে ফোনে খবর দিলে স্পিডবোট পাঠিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর প্রথম দফায় ৬ জন ও দ্বিতীয় দফায় ১০ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

ট্রলার মাঝি মজনু ফরাজী বলেন, হঠাৎ ট্রলারে প্রচুর পানি উঠতে শুরু করে। আমরা খোঁজাখুঁজি করেও পানির ওঠার স্থান পাইনি। এর পরে জীবন রক্ষা জন্য দ্রুত কিনারায় আসার জন্য চালাতে থাকি। আমরা বালতি, থাল দিয়া পানি সেচতে থাকি তবে এত পরিমাণ পানি উঠে যা বলে বুঝানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, পায়রা বন্দরের শেষ বয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে কিনারায় আসতেই মাঝপথে বসে হঠাৎ পানি উঠে ট্রলারটি তলিয়ে যায়। পরে স্পিড বোডের  মাধ্যমে আমাদেরকে উদ্ধার করে জেলেরা।

বিজ্ঞাপন

উদ্ধার হওয়া জেলেদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন- রহমান মাঝি (৪০) মজনু ফরাজি (৪২) সবুজ (৩০) এনায়েত হোসেন(৪৮), মেজবাউদ্দীন মিজু (৩৭) সজিব (২২) নাসির, হৃদয় ও মুছা (৩১)।

বিজ্ঞাপন

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ কেন্দ্রের ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞার শেষ মুহূর্তে হয়তো চুরি করেই তারা সাগরে গিয়েছিলেন৷

এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহার মুঠোফোন একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আরটিভি/এএএ 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission