ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে পর্যটকে মুখরিত পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটা। দর্শনীয় স্থানগুলোও পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে। হোটেল-মোটেলগুলোত রয়েছে শতভাগ বুকিং। এতে উচ্ছ্বসিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১১ জুন) দুপুরে সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় দেখা গেছে, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। জিরো পয়েন্টের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে এক কিলোমিটার এলাকায় পর্যটকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি খ্যাত সাগরকন্যা কুয়াকাটা। একইস্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য দেখা যায় বলে পর্যটকদের পছন্দের একটি জায়গা।
ঈদুল আজহা ও সাপ্তাহিক টানা ১০ দিনের ছুটিতে ভ্রমণ পিপাসুরা পাড়ি জমিয়েছেন এই সাগর কন্যায়। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর পুরো সৈকত এলাকা। ঈদের পঞ্চম দিনেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক পেয়ে খুশি ব্যবসায়ীরা।
স্নিগ্ধ সমুদ্রের ঢেউ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে নিজেকে মাতিয়ে তুলেছেন অনেকে। ঢেউয়ের তালে তালে দুলছেন বিভিন্ন বয়সের মানুষ। কেউ দলবেঁধে ছবি তুলছেন, কেউবা আবার বেঞ্চে বসে ঢেউয়ের গর্জন শুনছেন। অনেকে ঘোড়া ও মোটরবাইকে করে ছুটে চলছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে।
সূর্যোদয় পয়েন্ট গঙ্গামতি ও সূর্যাস্ত পয়েন্ট লেম্বুর বন, শুঁটকি পল্লি, ঝাউবাগান, বৌদ্ধ বিহারসহ সবকটি স্পটে পর্যটকদের ব্যাপক আনাগোনা রয়েছে।
রাজশাহী থেকে আসা পর্যটক জোবায়ের হোসেন বলেন, ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্রে গোসল করেছি অনেক ভালো লেগেছে।
মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা পর্যটক ফাহিম বলেন, কুয়াকাটা অনেক সুন্দর। গতবার এসেছি ঢেউ ছিল না, এবার অনেক ঢেউ রয়েছে। প্রচুর ঢেউ থাকায় সকাল বিকাল দুইবার গোসল করেছি অনেক ভালো লেগেছে।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আয়শা সিদ্দিকা ও রফিকুল ইসলাম দম্পতি বলেন, কুয়াকাটায় প্রথম এসেছি, তবে এত পরিমাণ লোকের সমাগম হয়েছে যা কল্পনাও করিনি। কুয়াকাটা অনেক সুন্দর। আমাকে মুগ্ধ করেছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লিয়জ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী বলেন, আজ সৈকতে পর্যটকদের ভালোই ভিড় রয়েছে। হোটেল-মোটেলগুলোতেও শতভাগ বুকিং রয়েছে।
টুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দর্শনীয় সকল স্পটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারিতে রয়েছে টুরিস্ট পুলিশ।
এছাড়াও গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি থানা ও নৌ-পুলিশ সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। সমুদ্র সৈকত এলাকায় পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। সমুদ্রে অনেক ঢেউ রয়েছে। তাই পর্যটকদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার জন্য বারবার মাইকিং করা হচ্ছে।
আরটিভি/এএএ