সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অটোরিকশার গ্যারেজে আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (১১ জুন) বিকেলে নির্যাতিত ওই কিশোরী বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে ছাতক থানায় মামলা করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ সাদা ব্রিজের রাস্তা সংলগ্ন একটি আটোরিকশার গ্যারেজে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রুহুল আমিন আকাশ (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিগলী (রামপুর) গ্রামের মৃত নুর হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হত-দরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী সিলেট শহরের একটি বাসায় কাজ (বুয়া) করত। ওই কিশোরী বাড়িতে যাওয়ার জন্য সিলেট শহর থেকে বাসে মঙ্গলবার বিকেলে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্ট এসে বাস থেকে নামে। এরপর ওই কিশোরী বাড়ি যাওয়ার জন্য গোবিন্দগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠে।
বিকেল প্রায় ৫টার দিকে এক আটোরিকশা চালক ওই কিশোরীকে ভুইগাঁও নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গোবিন্দগঞ্জ সাদা ব্রিজের রাস্তা সংলগ্ন রুহুল আমিনের আটোরিকশার গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে আটকে রেখে ৩ জন মিলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ও শারীরিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর ওই কিশোরীকে গ্যারেজ থেকে বের করে দেওয়ার পর ওই কিশোরী আবারও গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে আসে। সেখানে ডিউটিরত পুলিশকে বিষয়টি জানানোর পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যারেজ মালিক রুহুল আমিন আকাশকে আটক করে। এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালানো হয়। তবে আজ বুধবার বিকেলে ওই কিশোরী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে গাড়ির গ্যারেজে ঢুকিয়ে শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণের বিষয়ে বর্ণনা দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করে।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান আকন্দ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আটক গ্যারেজ মালিককে মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরটিভি/এএএ