ঈদুল আজাহার টানা ১০দিন ছুটির শেষ দিনে শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীগামী কর্মস্থলে একযোগে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
দীর্ঘ এক বছর পর প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। ফলে শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চ ঘাটে। তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, বাড়তি চাপ থাকলেও ভোগান্তি নেই।
কিন্তু দুপুরের পর হঠাৎ একযোগে শতশত ছোট গাড়ি, মোটরবাইক এবং যাত্রীবাহী বাস পারর জন্য আসায় কিছু যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘাট সংকটের কারেন ফেরি লোডআনলোডে দেরি হাওয়ায় এই যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির ঘাট ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ।
সরেজমিনে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা যায়, যাত্রী হয়রানি বন্ধে ঘাট এলাকায় কাজ করছে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ ছাড়াও রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যবস্থা।
ঢাকাগামী যাত্রী ফরিদপুর থেকে আসা শাহাদত হোসেন বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় ঘাটে যাত্রীদের ভোগান্তি নেই বললেই চলে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ঘাটে এসে সরাসরি লঞ্চে বা ফেরিতে উঠে যেতে পারছে।
দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ম্যানেজার মিলন মিয়া বলেন, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ সামাল দিতে এই নৌরুটে ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে। কোনো লঞ্চে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা না হয় বা বাড়তি ভাড়া নেওয়া না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা তদারকি করছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। নদীর দৌলতদিয়া প্রান্তে তিনটি ঘাট সচল আছে। ছুটি শেষ হওয়ায় যাত্রীর চাপও বেড়েছে। তবে কোনো ভোগান্তি ছাড়া যাত্রী সাধারণকে পার করানো সম্ভব হচ্ছে।
আরটিভি/এমকে