নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চুরির অভিযোগে লিজা আক্তার নামে এক গৃহিনীর বিরুদ্ধে কিশোরী গৃহপরিচারিকার চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের পর ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহপরিচারিকা ও তার পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
শুক্রবার (২৭ জুন) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, তার মা ভুইগড় রুপায়ন টাউনে ক্লিনারের কাজ করে। সেখানকার লিজা আক্তার নামের এক নারীর ফ্ল্যাটে মাসিক পাঁচ হাজার টাকা বেতনে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয় সে।
ভুক্তভোগী আরও জানান, মঙ্গলবার রাতে একটি সোনার চেইন ও এক জোড়া কানের দুল চুরির অপবাদ দিয়ে প্রথমে ইলেকট্রিক শক পরে চোখে মরিচের গুঁড়া দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করেন লিজা আক্তার। পরে মাথার চুল কেটে দেন তিনি। সন্ধ্যায় খাজিদার শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে পরিবারের লোকজন ডেকে তাদের কাছে তুলে দেয়। বিষয়টি বৃহস্পতিবার এলাকার কয়েকজনে শুনে তাদের থানায় পাঠায়। থানায় অভিযোগ করেছি।
যদিও অভিযুক্ত লিজা আক্তার বলেন, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করেছি। এখন তাদের আর কোনও অভিযোগ নেই। তারা গ্রামের বাড়ি চলে গেছে।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। একজন পুলিশ অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
আরটিভি/এমকে