কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের শূন্যরেখার কাছাকাছি অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে কুড়িগ্রাম সরকারি মেডিকেলের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব ইটালুকান্দা এলাকার সীমান্তঘেষা হলহলিয়া নদী থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সীমান্ত বাসিন্দারা জানান, আন্তর্জাতিক সীমানা ১০৫৩ মেইন পিলার থেকে দেড়শ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্ব ইটালুকান্দা এলাকায় স্থানীয়রা গরু নিয়ে মাঠে গেলে সীমান্ত শূন্যরেখার কাছাকাছি হলহলিয়া নদীতে নারীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বিজিবি ও থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে রাতে বিজিবির উপস্থিতিতে সুরতহাল শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ভারতের সীমান্ত থেকে দেড়-দুশ’ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হলহলিয়া নদীতে এক নারীর মরদেহ ভাসছে, এ রকম সংবাদ আমি শুনতে পারি। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ-বিজিবি সংবাদ পেয়ে সীমান্তবর্তী নদী থেকে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, ওই অজ্ঞাত নারীর মরদেহের পরনে শুধু ব্লাউজ ছিল। সম্ভবত ভারতীয় নাগরিক হতে পারে। নারীর চেহারা কোনওভাবে চিনার উপায় নেই।
রৌমারী থানার এস আই মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, মরদেহটি সম্ভবত ১৫ দিন আগের। শরীরের চামড়া খসে পড়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সরকারি মেডিকেলের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জামালপুর-৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ সাহেবের আলগা বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মোনায়েম খান বলেন, আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার থেকে ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইটালুকান্দা এলাকার হলহলিয়া নদীতে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ ভাসছিল। বিজিবি টহলরত সদস্যরা সেখানে গিয়ে মরদেহ দেখতে পান। কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। পাশাপশি পুলিশ এসে নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরটিভি/এমকে