• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo

বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৮ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:৩৪

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন খ্যাতিমান সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তাকে দাফন সম্পন্ন হয়। দাফনের সময়ে তার বড় ভাই মাহবুব উল্লাহ, স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়েসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিবারের পক্ষ থেকে মাহফুজ উল্লাহ স্মরণে আগামী ১ মে বাদ আসর জাতীয় প্রেসক্লাবে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ছেলে মোস্তফা হাবিব অন্তু।

এর আগে বাদ জোহর গ্রিনরোডের ডরমেটরি মসজিদে এবং বাদ আছর জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষে দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ দল মত নির্বিশেষে সকালের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চির বিদায় জানানো হয়।

প্রেসক্লাবে তার দ্বিতীয় নামাযে জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, স্থায়ী কমিটি সদস্য মওদুদ আহমদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবিসহ বিভিন্ন দলের নেতারা।

দেশের বিশিষ্ট এই সাংবাদিক শনিবার ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তার লাশ গত রোববার রাত ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে থাই এয়ারওয়েজে করে দেশে পৌঁছায়।

তিনি হৃদ্‌রোগ, কিডনি ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। গত ২ এপ্রিল অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখন তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছিল। এরপর ১০ এপ্রিল তাকে থাইল্যান্ডের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাহফুজ উল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ মার্চ নোয়াখালীতে জন্ম গ্রহণ করেন। মাহফুজ উল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

মাহফুজ উল্লাহ দেশের বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে, কূটনীতিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভার্সিটিতে গণযোগাযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

রাজনীতি উন্নয়ন ও পরিবেশ বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের অধিক।

এমসি/এমকে

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়