রাত-দিন ব্যস্ত বেনারসি পল্লী
পবিত্র ঈদুল-ফিতরকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বেনারসি পল্লীর কারিগরেরা।
নারীদের অন্যতম পছন্দ বেনারসি, জামদানি, কাতান, কারচুপি শাড়ি তৈরিতে তাদের এই ব্যস্ততা। কারিগরদের ব্যস্ততার পাশাপাশি মহাজনেরাও সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
স্থানীয় ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া অর্ডার সরবরাহে চলছে তাদের এই কর্মযজ্ঞ।
ঈদকে সামনে রেখে শাড়ির পাশাপাশি এখানে তৈরি হচ্ছে আকর্ষণীয় রং আর ডিজাইনের লেহেংগা।
সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর ও লোকোসেড এলাকায় ঢুকলেই চোখে পড়বে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে বেনারসি, জামদানি ও কাতান শাড়ি তৈরির তাঁত। তাঁতগুলো শ্রমিকদের কাজের ব্যস্ততায় মুখর। বছরের অন্য সময় তাঁত শ্রমিকেরা কিছুটা অলস সময় পার করলেও ঈদকে সামনে রেখে তাদের দম ফেলার ফুসরত নেই।
তাঁত শ্রমিক জাহাঙ্গীর, মুতাই, হাফিজুল জানান, বছরের অন্যান্য সময় একজন শ্রমিক শাড়ির কাজ করে সপ্তাহে এক থেকে দুই হাজার টাকা আয় করতেন আর এখন কাজ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহে আয় দাঁড়িয়েছে সাড়ে চার হাজার টাকা থেকে ছয় হাজার টাকার মতো।
মহাজন হারুন সরকার জানান, এবারের ঈদে ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লীতে কানজীভরম, রেশম জামদানি, পিওর জামদানি, বেনারসি কাতান, পিওর বেনারসি শাড়ির পাশাপাশি লেহেংগার উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে।
প্রতিদিনই এখানকার শাড়ি রাজধানী ঢাকা, যশোর, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কায় চলে যাচ্ছে। প্রতিটা শাড়ির মূল্য সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
তবে ঈশ্বরদীর পল্লীতে বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি হলেও এখানে পালিশ করার জন্য ক্যালেন্ডার না থাকায় এসব শাড়ি ঢাকায় পাঠাতে হয়। ফলে শাড়ি তৈরিতে বাড়তি খরচ হয়।
ঈশ্বরদী বেনারসি পল্লী সমিতির সেক্রেটারি ওয়াকিল আহমদ জানান, এই ব্যবসাতেও রয়েছে অনেক সমস্যা। ঋণ, বাজারজাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি সহযোগিতা পেলে এই শিল্পটি লাভজনক হয়ে উঠবে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন