হিলিতে কমছে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত হিলি স্থলবন্দর। এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বেশির ভাগ পেঁয়াজ, খৈল, পাথর আমদানি হয়ে থাকে। তার মধ্যে পেঁয়াজ আমদানিকে কেন্দ্র করে বন্দর এলাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কিছু পেঁয়াজের আড়ত। যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকারেরা এসে পেঁয়াজ কিনে নিয়ে যায়।
ঈদের ছুটির পর এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অল্প পরিসরে হওয়ায় লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম। ঈদের আগের তুলনায় ঈদের পরে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম।
তবে বর্তমানে ব্যতিক্রম দেখা গেছে বন্দরের আড়তগুলোতে। পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে দাম। প্রকারভেদে কেজিতে কমেছে ১০ থেকে ১২ টাকা। আর বিক্রি হচ্ছে ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে। ঈদের পর গেল বুধবার যে পেঁয়াজ বন্দরে বিক্রি হয়েছে ৩৮ থেকে ৪৪ টাকা।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, ছুটির পর পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত আছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আমদানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে দাম কমতে শুরু করেছে।
তিনি আরও জানান, আমরা ভারতে আমদানিকারকদের চাপ দিয়েছি বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানিতে। তারা বিভিন্ন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে ইতিমধ্যে আমাদের রপ্তানি করছে। আর এই কারণে বন্দরে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ প্রবেশ করায় দাম কমেছে। আশা করছি সামনে দাম আরও কমে আসবে।
পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম জানান, আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাম কমতে শুরু করেছে। আজ আমরা সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজটা ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।যে পেঁয়াজ গেল বুধবার বিক্রি করেছি ৪৪ টাকা দরে। আর সর্বনিম্ন বিক্রি করছি ২৮ টাকা কেজি দরে। যা আগে বিক্রি করেছিলাম ৩৮ টাকা কেজি দরে। প্রকারভেদে কেজিতে ১০ থেকে ১২ টাকা কমেছে।
---------------------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : শহীদ মিনার ভেঙে এমপির বাবার মুর্যাল নির্মাণ
---------------------------------------------------------------------
তিনি আরও জানান, ভারতে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজের এলসি দেওয়া আছে। সেগুলো বন্দরে প্রবেশ করলে দাম স্বাভাবিক থাকবে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, গত কয়েক দিনের থেকে পেঁয়াজের দাম একটু কমেছে। আমরা স্বস্তিতে কিনতে পারছি। আমরা কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারলে ক্রেতারাও কম দামে কিনে খেতে পারবে।
তিনি আরও জানান, দামটা আরও একটু কমলে আমাদের বেচা-কেনা ভালো হবে।
হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বন্দরে গেল সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে ১১২টি ভারতীয় ট্রাকে দুই হাজার ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন