১১৯ বছরেও খালি চোখে কুরআন পড়েন জোবেদ আলী
জাতীয় পরিচয়পত্রে তার বয়স ১১৯। এ বয়সেও তিনি খালি চোখে কুরআনসহ পত্রিকা পড়তে পারেন। কোনও দিন ফজরের নামাজ কাজা করেননি। যার কথা বলছি তার নাম জোবেদ আলী। এ বয়সেও তার স্বাভাবিক চলাফেরা ও কাজকর্ম এলাকার মানুষের কাছে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে। তিনি কোনও কাজে বাড়ি থেকে বের হলেই শতবর্ষী এ বৃদ্ধকে একনজর দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ।
জোবেদ আলী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার জন্ম তারিখ লেখা ২৫ অক্টোবর ১৯০০ ইংরেজি সাল। সে হিসেবে তার বর্তমান বয়স ১১৯ বছর হলেও তার বয়স আরও বেশি। তিনি মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে। তার স্ত্রী ফয়জুন নেছা (৮৭), তিন ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।
জীবনে কোনও দিন ফজরের নামাজ কাজা করেননি বৃদ্ধ জোবেদ আলী। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন ধর্মভীরু। তিনি ১০০ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তিনি স্বাভাবিকভাবে নিয়মিত কুরআন মাজিদ তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন বই ও পত্রিকা পড়েন।
এ বয়সেও তরা বড় ধরনের কোনও রোগ নেই। শরীর এখনও তার ভালো আছে। ছোটবেলা থেকে যুবক বয়সে তিনি নিজের বাড়ির উৎপাদিত মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তেল, রাসায়নিক সারবিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেতেন।
তিনি ফজরের নামাজের পর এবং রাতে নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করেন। কুরআন মজিদ ছাড়াও পত্রিকা পড়ার নেশা রয়েছে তার।
বৃদ্ধ জোবেদ আলী বলেন, আমি জীবনে কোনোদিন ফজরের নামাজ কাজা করিনি। এই বয়সেও সুস্থ আছি, খালি চোখেই বই ও পত্রিকা পড়ি। ফজরের নামাজের কুরআন তেলাওয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ পাক আমাকে সুস্থ রেখেছেন। এজন্য জোবেদ আলী আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।
জেবি
মন্তব্য করুন