অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় আটক ২৫
রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ২৫ জনকে আটক নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশ। পলিটেকনিট ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে রাত ৯টার দিকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দীন আহম্মেদ। তবে মামলার এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ক্লাসে উপস্থিত না থাকা এবং মধ্যপর্ব পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় দু’জন শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলাপের সুযোগ না দেয়ায় শনিবার সকাল ১১টার দিকে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদকে পুকুরে ফেলে দেয়ার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
পরে ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গিয়ে অধ্যক্ষকে পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, পরীক্ষার ফরমপূরণের জন্য অধ্যক্ষের সঙ্গে তদবির নিয়ে আসেন ছাত্রলীগ নেতারা। তাদের কথায় রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অধ্যক্ষকে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে পুকুর থেকে সাঁতরে কিনারে এলে আশপাশের কয়েক ব্যক্তি অধ্যক্ষকে উদ্ধার করেন।
জানা যায়, অযোগ্য শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ না দেয়ায় অধ্যক্ষের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা কামাল হোসেন সৌরভ। তিনি রাজশাহী পলিটেকনিক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী হাসান গ্রুপের নেতা।
অবশ্য এ ঘটনায় কামাল হোসেন সৌরভকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার রাতে মহানগর ছাত্রলীগের এক সভায় সৌরভকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রকি কুমার ঘোষ জানান, সৌরভকে বহিষ্কারের সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে রাতেই পাঠানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের কার্যক্রমও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গোলাম মোস্তাফা বলেন, ক্যাম্পাস থেকে সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আসামিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসএস
মন্তব্য করুন