নেত্রকোনায় ধর্ষণের শিকার মাদরাসাছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা
নেত্রকোনায় কেন্দুয়ার রোয়াইলবাড়ী বাজারে প্রতিষ্ঠিত আশরাফুল উলুম জান্নাতুল মাওয়া মহিলা মাদরাসার এক ছাত্রী ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগে পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গতকাল রোববার কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন শিশুটির বাবা।
সোমবার সরেজমিনে গেলে জানা যায়, রোয়াইলবাড়ী ইউনিয়নের চরআমতলা কোনাবাড়ী গ্রামের ওমর ফারুকের ছেলে আব্দুল হালিম একটি অর্ধ-আবাসিক মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এই মাদরাসায় পড়তো একই এলাকার ওই মেয়ে শিশুটি।
ভিকটিমের পরিবার জানায়, মাতৃহারা মেয়েটি ওই মাদরাসাটিতে পড়তো। গেল বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ মেয়েটির পেটে ব্যথা হয়। একপর্যায়ে রক্তক্ষরণ হলে অন্তঃসত্ত্বা বিষয়টি নজরে আসে। মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় কয়েক মাস আগে মাদরাসার হুজুর আব্দুল হালিম সাগর তাকে ধর্ষণ করে। ফলে সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মারাত্মক অসুস্থ হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেন এলাকায় এমন ঘটনা আর কেউ ঘটাতে না পারে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান আরটিভি অনলাইনকে জানান, ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ওই মাদরাসার পরিচালক আব্দুল হালিম সাগরকে আসামি করে গতকাল রোববার রাতে কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত হালিমকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান আরটিভি অনলাইনকে জানান, আসামি বাড়ি-ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
জেবি/পি
মন্তব্য করুন