অপমান সইতে না পেরে শিশু কন্যাকে হত্যা, পরে মায়ের আত্মহত্যা
সোনা চুরির অপবাদ দেওয়ায় ক্ষোভে ও অপমানে যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের এক গৃহবধূ চার বছরের কন্যা শিশুকে হত্যার পরে নিজে আত্মহত্যা করেছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, গৃহবধূ জুলেখা খাতুন ও তার শিশু কন্যা আমেনা খাতুন। নিহত জুলেখা শিকারপুর গ্রামের আল মামুনের স্ত্রী।
এদিকে, আত্মহত্যায় প্ররোচনার দেওয়ার অভিযোগে সন্ধ্যায় দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন, একই ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলাউদ্দিন এর মেয়ে জুলি বেগম (২২) ও তার মা।
নিহত জুলেখা খাতুনের চাচা তরিকুল ইসলাম জানান, গতকাল শনিবার সকালে আমার ভাইঝি আমেনা খাতুন আলাউদ্দিনের দোকানে চকলেট কিনতে যায়। এ সময় তার গলায় একটি সোনার হার ছিল। সেটি দোকানির মেয়ে জুলি বেগম (২২) নিজের হার দাবি করে আমেনা খাতুনের গলা থেকে খুলে নেয়।
তবে, আল-মামুনের স্ত্রী জানান জুলেখা জানান, এই হারটি আমার মা উপহার হিসেবে দেন। কিন্তু জুলি বেগম সেটি বিশ্বাস না করে তার প্রমাণ দিতে বলেন। এ সময় জুলেখা তার মাকে ফোন করে জানালে তার মা শুক্রবারে আসার কথা জানান। বিষয়টি জুলি বেগমের পছন্দ না হওয়ায় তাদের দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
এ ঘটনার জের ধরে জুলেখা খাতুন প্রথমে চার বছরের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা ও পরে সে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ বিষয়ে যশোরের নাভারন সার্কেলের এএসপি জুয়েল ইমরান বলেন, এ ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জুলি বেগম ও তার মাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এজে
মন্তব্য করুন