কলেজ ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের শিকার দুই সন্তানের জননী
ভোলার দৌলতখান সড়কের পাশে হালিমা খাতুন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন দুই সন্তানের এক জননী। তিনি একটি বেসরকারি ক্লিনিকের স্টাফ।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় প্রায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ওসি সাদেকুর রহমান জানান, ধর্ষকদের দু’জনকে সনাক্ত করা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই একজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে তিন দিন আগে চরফ্যাশন পর্যটন কেন্দ্রখ্যাত কুকরীমুকরীর নারিকেল বাগানে রাতভর আটকে রেখে এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে পাঁচ যুবক। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা।
সন্দেহভাজন ধর্ষক তালিকায় ওই কলেজের অফিস সহকারীসহ কয়েকজন। তবে অধ্যক্ষের দাবি কলেজের কেউ জড়িত নন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী দুই সন্তানের জননী। ভোলা শহরের একাটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরি করেন। প্রায় নয় বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্বামী মারা যান।
ক্লিনিকে চাকরি করেই তিনি সন্তানদের নিয়ে সংসার চালান। প্রতিদিনের মতো ক্লিনিকের কাজ শেষ করে রাতে একটি অটোরিকশা করে দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন।
রাত প্রায় সাড়ে নয়টার সময় দৌলতখানের হালিমা খাতুন কলেজের সামনে অটো থামিয়ে সন্তানদের জন্য বিস্কুট ও চিপস কিনতে পাঠান অটো চালককে। এ সময় দুই যুবক ওই নারীকে কথা আছে বলে কলেজের ভেতরে ডেকে নেন।
পরে কয়েকজনে মিলে হাত-পা বেঁধে তাকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে অটোচালক ফিরে এসে ওই নারীকে না দেখে খোঁজাখুঁজি করছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ওই অটোচালকই। এদিকে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। ভিক্টিমের শরীরে ধর্ষণের আলামত রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স।
কলেজ অধ্যক্ষ মো. নুরে আলম আরটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তার কলেজের কেউ দায়ী নন বলে দাবি করেন তিনি। অপরদিকে ভিকটিমের কথা অনুযায়ী ধর্ষকদের তালিকায় ওই কলেজের অফিস সহকারী শাহীনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জেবি
মন্তব্য করুন