চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে সিধ কেটে চুরি করতে গিয়ে জনগণের হাতে ধরা পড়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
শুক্রবার দিনগত রাতে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
আটককৃত শাহীন খান (৪২) সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দপাড়ার মৃত ছামু খানের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি। এছাড়া তিনি সাত ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
এলাকাবাসী জানায়, শাহীন অনেক দিন যাবৎ চুরি করছে। সে একজন দাগি চোর। এর আগে একাধিক বার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পড়েছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসী তার উৎপাত থেকে রেহাই পেতে ভোট দিয়ে তাকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করে। মেম্বার হওয়ার পর কিছুদিন ভালো চললেও আবার তার উপদ্রব বেড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতা শাহীন শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মিয়ার বাড়িতে সিধ কেটে চুরি করতে যায়।
মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মিয়ার ছেলে ওসমান গনি বলেন, আমি গতকাল শুক্রবার রাতে বাড়ির পাশের জমিতে পানি দিয়ে বাড়িতে এসে টর্চের আলো জ্বালালে শাহীনকে দৌড় দিতে দেখি। এ সময় আমি ও আমার পরিবারের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলি। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গ্রামবাসী শাহীনকে পিটিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল হোসেন মোল্লা বলেন ঘটনাটা আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলম চাঁদ আরটিভি অনলাইনকে বলেন, খবর পেয়ে আহত অবস্থায় শনিবার সকালে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ওসি জানান।
জেবি
মন্তব্য করুন