দৌলতদিয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের অপেক্ষায় লঞ্চ ও ফেরি
রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাট। এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে ছয় হাজার যানবাহন ও যাত্রী নদী পারাপার হয়। আর ঈদ মৌসুমে এই রুটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
এবারও খুব একটা ব্যতিক্রম ছিল না। তবে তা মাত্র দুদিনের জন্য। ঈদের ছুটি শেষে গ্রামে আসা মানুষগুলো ইতোমধ্যেই ফিরে গেছে রাজধানীতে। তাই কর্মচঞ্চল এই দৌলতদিয়া ঘাট এখন অনেকটাই ফাঁকা।
বুধবার (৩ জুন) সকাল থেকে যাত্রী ও যানবাহনের অপেক্ষায় দীর্ঘসময় পর্যন্ত বসে থাকতে দেখা গেছে ১৬টি লঞ্চ ও ৯ টি ফেরিকে। অল্পসংখ্যক যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে সকাল থেকে কয়েক ট্রিপ লঞ্চ ও ফেরী চলেছে।
বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুল্লাহ রনি জানান, যানবাহন ও যাত্রীর চাপ একেবারেই কম। তারপরও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে ৯টি ফেরী চলাচল করছে। আরও ৫টি ফেরি ঘাটে নোঙ্গর করে রয়েছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের লঞ্চ মালিক সমিতির সুপারভাইজার মিলন হোসেন বলেন, দীর্ঘ দুমাসেরও বেশী সময় এই রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চ মালিকদের অনেক লোকসান হয়েছে। বর্তমানে ১৬টি লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের জন্য ঘাটে জীবাণুনাশক স্প্রে, সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুর রহমান জানান, ঘাট এলাকা ও ফেরীতে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে। তবে মানুষকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ এই পুলিশ কর্মকর্তার। আর মানুষ ইতোমধ্যে অনেক সচেতনও হয়েছে। তাই মানুষ ফেরি ও লঞ্চে গাদাগাদি হয়ে পার হচ্ছেন না। এছাড়াও অনেকে কর্মস্থলে সহজে যেতেও চাচ্ছে না।
এসএস
মন্তব্য করুন