বন্যা : শেরপুরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
উজান থেকে প্রবল বেগে নেমে আসা ঢলের কারণে পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শেরপুর সদর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ পরিবার। কাঁচা ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, রোপা আমন ধানের বীজতলা, সবজি, শতাধিক পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে।
শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান ও শিমুলতলী এলাকার কজওয়ে দুটিতে প্রবলবেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে শেরপুর-ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গের সঙ্গে এ পথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি কমে যাওয়ায় ওই দুই উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ২২টি গ্রামের প্রায় ২ হাজার ৫শ’ পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাড়িতে পানি উঠায় চুলা জ্বালাতে পারছেন না প্লাবিত এলাকার মানুষ।
দুর্গতদের জন্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন চিকিৎসা সেবা ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়নি। শেরপুর-জামালপুর সড়কের ব্রহ্মপুত্র বীজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার ১৩০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধানের ক্ষেত, সবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।
এসএস
মন্তব্য করুন