শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
অবিরাম বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদ, মৃগী ও দশানী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শেরপুর-জামালপুর সড়কের ব্রহ্মপুত্র ব্রিজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার দশমিক চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে শেরপুর জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার শেরপুর সদর, শ্রীবরদী, নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৬০ গ্রামের প্রায় ১৭ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
শেরপুর-জামালপুর সড়কের পোড়ার দোকান ও শিমুলতলী এলাকার কজওয়ে দুটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় পাঁচ দিন থেকে শেরপুর-ঢাকা এবং উত্তরবঙ্গের সঙ্গে এ পথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও গো খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে পানিবাহিত রোগ।
বন্যার কারণে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নকলা উপজেলার চরঅষ্টধর ইউনিয়নের দক্ষিণ নারায়ণ খোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতাধিক পরিবারের বসত বাড়ি। ভাঙনের মুখে স্কুলটি অন্যত্র স্থানান্তরের কাজ চলছে। জেলায় ত্রাণ তৎপরতা অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ।
শেরপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় উপজেলার তিনশত ৫০ হেক্টর রোপা আমন বীজতলা, আউশ ধানের ক্ষেত, সবজি ও পাটের আবাদ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন : কুড়িগ্রামে বন্যায় ভোগান্তিতে ৩ লাখ বানভাসি
জেবি
মন্তব্য করুন