• ঢাকা সোমবার, ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১
logo
শেখ মুজিব এ দেশের স্বাধীনতা চাননি: আব্দুস সালাম 
নতুন বই নিতে ১০০ টাকা করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠান, অভিভাবকদের ক্ষোভ
মু্ন্সীগঞ্জে প্রথম থেকে ৪র্থ শ্রেণির নতুন বইয়ের জন্য প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি থেকে উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র দিতেও নেওয়া হয়েছে ২০০ টাকা করে।  টাকা নেওয়ার এমন অভিযোগ উঠেছে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম সিকদার। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যালয়ে পড়ুয়া বিভিন্ন শ্রেণির কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন শিক্ষার্থী এবং কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা হলে তারা এসব অভিযোগ করেন।  তারা জানান, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করার সুযোগ করে দিয়েছে। সেখানে বিনোদপুর সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কেউ সে নিয়ম মানছেন না। সরকার বিনামূল্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই দিয়েছে। ছাড়পত্রও দেওয়ার কথা ছিল বিনামূল্যে। অভিভাবকদের দাবি, নতুন বই দেওয়ার জন্য প্রতিটি শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১০০ টাকা করে নিয়েছেন শিক্ষকরা। এবার এ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি থেকে যারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। সেসব শিক্ষার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। সেই শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য পঞ্চম শ্রেণির ছাড়পত্র প্রয়োজন। যেসব শিক্ষার্থীরা ছাড়পত্র নিতে এসেছে, তাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিয়েছেন শিক্ষকরা। জানা যায়, এ বছর বিনোদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে ১৩৫, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ১৩০, তৃতীয় শ্রেণিতে ১১৫, চতুর্থ শ্রেণিতে ১১৫ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে গত দুই দিনে প্রথম শ্রেণির ৭০, দ্বিতীয় শ্রেণির ৮২, তৃতীয় শ্রেণির ১০১ জন শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়েছেন। তবে শিশু ও পঞ্চম শ্রেণির কোনও শিক্ষার্থীই বই পায়নি। তবে দুয়েকদিনের মধ্যে নতুন বই পাবেন বলে জানিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। নতুন বই নেওয়া ৪র্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলেন, নতুন বই দেওয়ার কথা বলে আমাদের বুধবার বিদ্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। পরে স্যার ও ম্যাডামরা আমাদের কাছে ১০০ টাকা করে নেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়টির ৫ম শ্রেণি থেকে উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থী বলে, ‘আমি বিনোদনপুর রামগোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। সেখানে প্রাইমারি স্কুলের টিসি চায়। টিসি নিতে এলে ২০০ টাকা নিয়েছেন শিক্ষকরা।’  নতুন বই ও ছাড়পত্র দেওয়া বাবদ টাকা নেওয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষকরা তা এড়িয়ে যান। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম সিকদার টাকা নেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে বলেন, ‘বই এবং ছাড়পত্র দিয়ে কারও কাছ থেকে কোনও ধরনের টাকা নেওয়া হয়নি। যারা বলেছে, তারা ভুল বলেছে। আমি এ কয়দিন বই আনা-নেওয়া নিয়ে অনেক ব্যস্ত ছিলাম।’ এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মোমেন মিয়া বলেন, ‘নতুন বই দেওয়া এবং সনদ দেওয়া বাবদ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক টাকাও নেওয়ার সুযোগ নেই। যদি স্কুলের শিক্ষকরা এমন কাজ করে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আরটিভি/এমকে/এআর
বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্চশব্দে গান বাজানোয় অর্থদণ্ড
এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুই গাড়ির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে ১০ গাড়ি, নিহত ১, আহত ১৫
বিস্ফোরণে উড়ে গেল শিশুর হাতের কব্জি, অতঃপর...
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ ইসলামপুরে ময়লার ভাগাড়ে পড়ে থাকা বোমাসদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণে সজিব (১২) নামে এক শিশুর হাতের কব্জি উড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গোপনাঙ্গসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ।  রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সজিব দে। আহত শিশু নারায়ণগঞ্জ সদরের পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা।  জানা যায়, সজিব তার বাবা রাজু শেখ ও আরেক ভাইকে নিয়ে ময়লার ভাগাড়ে বোতল টোকাতে যায়। এ সময় হঠাৎ বোমাসদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ হয়। পরে ওই শিশুকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক রুহুল আমিন বলেন, ‘বিস্ফোরণে তলপেট, পা ও দুই হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিশুটির।’ এ বিষয়ে ওসি সজিব দে বলেন, ‘ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আরটিভি/এমকে-টি
‘আ.লীগের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে দুশমনি করছে ভারত’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার জন্য ভারত বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে দুশমনি শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে, অন্য কোনো শক্তির কাছে বাংলাদেশের মানুষ মাথানত করবে না। রাজনীতির আখলাক পরিবর্তন করা প্রয়োজন। চাঁদাবাজ-দুর্নীতিবাজ, ফিটিংবাজের রাজনীতি আর মানুষ চায় না। ভালো মানুষ সংসদে গেলে সরকার গঠন ভালো হবে। ভালো সরকার ভালো আইন তৈরি করবে। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগের পরের রাজনীতি সম্পূর্ণ আলাদা। দেশে একটি সুশাসন প্রতিষ্ঠা হবে। হিন্দু-মুসলমান সবাই সমান অধিকার পাবে। হিন্দুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের মুসলিমদের। দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের বদনাম করার জন্য সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ করা হচ্ছে। আমরা তীব্রভাবে নিন্দা করেছি এবং এ সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে আছি। উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান বেপারীর সভাপতিত্বে ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান খানের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান টিটু, উপজেলা বিএনপি নেতা আক্তার হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব পাভেল মোল্লা, মহাসিন মোড়ল, মো. অহিদুজ্জামান, মোশাররফ হোসেন নসু, জি এম মিঠু, সোলেমান তপু, মুরাদ হোসেন, ছাত্রদল নেতা জহিরুল ইসলামসহ উপজেলা ও জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। আরটিভি/এমকে
ইউটিউব দেখে অস্ত্র চালানো শিখে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে হত্যা
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় বিয়ের জন্য চাপ দিলে প্রেমিকা শাহিদা ইসলামকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করে কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়। হত্যার কাজে ব্যবহৃত পিস্তলটি তৌহিদ গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুট করেন। পরে ইউটিউবে ভিডিও দেখে তিনি পিস্তল চালানো শিখেন।  মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে হাজির করলেন আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হোসাইন রনির কাছে আসামি তৌহিদ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তৌহিদের বরাদ দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মো. ইয়াসিন। ডিবির তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. ইয়াসিন বলেন, তন্ময়ের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি কেরানীগঞ্জ ডোবা থেকে উদ্ধারের ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া ওয়ারি থানা থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনায় ওই থানায় দায়েরকৃত মামলায় তাকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জে গুলি করে শাহিদাকে হত্যা করার ঘটনায় অপর একটি মামলাসহ সব মিলিয়ে তিনটি মামলার আসামি তিনি। হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তলটি তৌহিদ গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুট করেন। এরপর তিনি ইউটিউবে ভিডিও দেখে পিস্তল চালানো শিখেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, ৪ বছর প্রেম করলেও প্রেমিক তৌহিদ শাহিদাকে বিয়ে করতে চায়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। একটি দুটি নয়, প্রকাশ্যে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ওপর ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়ে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে আলোচিত শাহিদা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি তৌহিদ। পরে তার দেয়া তথ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে পানি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সরকারি সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসব তথ্য জানান মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার। পুলিশ জানায়, নিহত শাহিদার সঙ্গে তৌহিদের দ্বন্দ্ব ছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে (২৯ নভেম্বর) শাহিদাকে ফোন করে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হতে বলেন তৌহিদ। পরে লোকাল বাসে করে দুজনেই চলে আসেন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে। রাতভর সেখানে ঘোরাঘুরির পর গত শনিবার ভোরে খানবাড়ি সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় আসেন তারা। সেখানে প্রেমিকা শাহিদা প্রেমিক তৌহিদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়।  আশপাশের লোকজন তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসতে থাকলে তৌহিদ ওই নারীকে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সার্ভিস লেন ধরে পদ্মা সেতু উত্তর টোল প্লাজা থেকে ২০০ মিটার অদূরে দোগাছি ফুটওভার ব্রিজ পার করে। পথে কয়েক দফায় শাহিদাকে চড়থাপ্পড় মারে তৌহিদ। একপর্যায়ে আর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সঙ্গে থাকা থানা থেকে লুটকৃত পিস্তল দিয়ে প্রথমে এক রাউন্ড গুলি ছুড়লে সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরপরই আরও ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়লে সেগুলো শাহিদার শরীরের বিভিন্ন অংশে বিদ্ধ হয়। মুহূর্তেই সড়কে উপুড় হয়ে পড়ে মৃত্যু হয় শাহিদার। রক্তাক্ত প্রেমিকার লাশ ফেলে পেছন দিকে দৌড়ে পালায় তৌহিদ। এরপর খানবাড়ি এলাকায় গিয়ে লোকাল বাসে চড়ে রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্য। মাঝপথে পিস্তলটি ফেলে দেয় কেরানীগঞ্জ বেইলি ব্রিজের নিচে। এরপর ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করে তৌহিদ। একপর্যায়ে আঁটিবাজার এলাকায় নিজের বোনের বাড়িতে গিয়ে ওঠে সে। ওই বাড়িতে বোন জামাই, বোন ও তৌহিদের মা লঞ্চে করে মনপুরা দ্বীপে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয় তৌহিদকে। পরদিন রোববার সন্ধ্যায় ওই তিনজন সদরঘাট গিয়ে পৌঁছে দেয় তাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা-ভোলা-মনপুরা রুটের লঞ্চে উঠে পড়ে তৌহিদ। তৌহিদকে প্রধান সন্দেহভাজন চিহ্নিত করে তার মোবাইল নম্বরের সবশেষ লোকেশন নিশ্চিত হয় তারা। তখন দেখা যায়, তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি শুক্রবার রাতে সবশেষ ঢাকার ওয়ারী এলাকায় চালু ছিল। এরপর থেকে সেটি বন্ধ আছে। এরইমাঝে আরেকটি সূত্র খুঁজে পায় ডিবি। তৌহিদের মোবাইল কলের সূত্র ধরে উদঘাটন হয় পরিবারের সকল সদস্যের নম্বর। রোববার ডিবির দলটি যখন ঢাকার আঁটিবাজারে তৌহিদের বোনের বাড়িতে অভিযানে যায় তখন তারা একসঙ্গে তৌহিদের মা, বোন ও বোন জামাইয়ের মোবাইলের লোকেশন সদরঘাটে দেখতে পায়। এরপরে অভিযান কার্যক্রম আরও জোরদার করে ডিবি। গোয়েন্দা সংস্থার টিমটি ছুটে যায় সদরঘাটে। সিসিটিভি ক্যামেরায় তৌহিদের লঞ্চে উঠার দৃশ্য শনাক্ত করে তারা। গ্রেপ্তারের পর ডিবির কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তন্ময় জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশলের অংশ হিসাবে মাওয়া আসার আগে ঢাকার ওয়ারীতে থাকতেই মোবাইলটি বন্ধ করে দেয় সে। যাতে হত্যার পর লুকালেও পুলিশ কোনো ক্লু বের করতে না পারে। এদিকে, সোমবার ভোরে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের ৫ সদস্যের ওই টিমটি অবস্থান নেয় ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে। টার্গেট করা লঞ্চে অনুসন্ধানে ডিবির হাতে ধরা পড়ে তৌহিদ। এর আগে গত রোববার সকালে নিহত শাহিদার মা জরিনা খাতুন শ্রীনগর থানায় প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর রাতে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ির বরিবয়ান এলাকায় এলাকায় জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয় শাহিদার। আরটিভি/এফআই-টি
বিয়ের চাপ দেওয়ায় তরুণীকে গুলি করে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে ভোলার ইলিশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গ্রেপ্তার তৌহিদ শেখ তন্ময় (২৮) রাজধানী ঢাকার ওয়ারীর বনগ্রাম এলাকার প্রয়াত শফিক শাহ এর ছেলে।  নিহত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা জানান, তৌহিদ কৌশলে শাহিদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। আর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় শাহিদাকে হত্যা করেন তৌহিদ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি কেরানীগঞ্জের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সমসপুর এলাকার দোগাছি সার্ভিস সড়ক থেকে শাহিদা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহের পাশে কয়েকটি গুলির খোসা পড়ে ছিল। তার শরীরে আটটি গুলির ছিদ্র ছিল। শাহিদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ির বরিবয়ান এলাকার আবদুল মোতালেবের মেয়ে। তিনি ঢাকার ওয়ারী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নিহত তরুণীর মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। পরে রোববার সকালে ওই মামলায় একমাত্র নাম উল্লেখ করে আসমি করা হয় তৌহিদকে। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজাদ বলেন, সন্দেহভাজন হিসেবে তৌহিদকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের একাধিক দল কাজ করছিল। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে আমাদের একটি দল ভোলা জেলায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে তৌহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তৌহিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেরানীগঞ্জের একটি পুকুর থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই অস্ত্র দিয়ে শাহিদাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। পিস্তলটি গত ৫ আগস্ট ওয়ারী থানা থেকে লুট করেছিলেন তৌহিদ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসআই মো. আজাদ বলেন, তৌহিদের সঙ্গে শাহিদার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর মধ্যে তৌহিদ অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি শাহিদা জানতে পারেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। গত শুক্রবার রাতে শাহিদাকে মুঠোফোনে ওয়ারীর বাড়ি থেকে মাওয়ায় ইলিশ খাওয়ার কথা বলে ডেকে এনে খুন করেন তৌহিদ। পরে তিনি পালিয়ে যান। আরটিভি/এমকে-টি
তরুণীকে গুলি করে হত্যা, রিভলবারসহ প্রেমিক গ্রেপ্তার
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে শাহিদা আক্তার (২২) নামে এক তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রিভলবারসহ প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে (২৩) গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ভোলার ইলশা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তন্ময় ঢাকার ওয়ারীর ২২নং বর্ণগ্রাম রোডের মৃত শফিক শাহ ও ময়না বেগমের ছেলে। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের একটি পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রিভলবার উদ্ধার করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মো. ইশতিয়াক রাসেল জানান, সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে ভোলা মনপুরা দ্বীপে পালিয়ে যাচ্ছিল তন্ময়।গ্রেপ্তার তৌহিদকে নিয়ে তরুণীর লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছে ডিবি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরুণীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তৌহিদ। তার বাড়ি রাজধানীর ওয়ারী এলাকায়। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে জেলার শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেন থেকে শাহিদার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন দিবাগত মধ্যরাতে নিহতের মা জরিনা খাতুন বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত তরুণী শাহিদা ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার বেগুনবাড়ি বরিবয়ান গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মোতালেবের মেয়ে। রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন তিনি।  আরটিভি/এমএ/এস