• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
টাঙ্গাইলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁশের গাড়ির সঙ্গে ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের হাজীগঞ্জ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন, উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের জোরদিঘী ফজরগঞ্জ এলাকার প্রবাসী মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (২০) ও রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহাদত (১৮)। সাগরদিঘী ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, দুই বন্ধু জুয়েল ও শাহাদত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জোরদিঘী বাজার এলাকা থেকে সাগরদিঘী বাজারের উদ্দেশ্যে ঘুরতে বের হলে হাজীগঞ্জ এলাকায় বাঁশবাহী একটি গাড়ীর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।  ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আরটিভি/এএএ/এসএ
ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না: টুকু
সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন 
টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, কলেজছাত্র নিহত 
আ.লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিধিবহির্ভূত ৩ প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান
দেবরের ঘরের বারান্দা থেকে ভাবির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দেবর রানা মিয়ার ঘরের বারান্দা থেকে হালিমা বেগম নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের চিরিঙ্গিবাইদ এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হালিমার স্বামীর নাম ছানোয়ার হোসেন।  পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ হালিমার লাশ দেবর রানার বারান্দায় ঝুলে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।  এ বিষয়ে ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’ 
টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, সহযোগীসহ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর করা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টিক্কা (৫০) ও তার সহযোগী মো. খোকনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরেক সহযোগী মো. মনির (২৩) পলাতক রয়েছেন।  শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইচাইল গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা শহিদুল ইসলাম টিক্কা স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।  স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়ি ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোপালপুরের বুটিয়া গ্রামে। তার স্বামী মো. শামীম মণ্ডল ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। তিনি ছুটিতে এসেছেন ১৮ জুলাই। ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামে মো. শমসের ওরফে শমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে তিন তলার একটি ফ্লাটে থাকেন তারা।  মামলার বিবরণে জানা যায়, বাইচাইল গ্রামের আতাব আলী খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম টিক্কা বাড়ির মালিক শমসেরের নিকটাত্মীয়। তাই টিক্কার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে। শনিবার দুপুরে গৃহবধূর স্বামীর খোঁজ করতে ফ্ল্যাটে যান অভিযুক্ত টিক্কা ও তার দুই সহযোগী ঘাটাইল খরাবর গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে মো. খোকন (৪০) ও বাইচাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে মো. মনির (২৩)। স্বামী ফ্লাটে নেই জানানোর পরও জোর করে টিক্কা কক্ষে প্রবেশ করেন এবং দুই সহযোগীকে বা্ইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এ কথা শোনার পর কক্ষ থেকে গৃহবধূ দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে টিক্কা তাকে টেনে ধরেন এবং দুই সহযোগী দরজা বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে জোর করে গৃহবধূকে টেনেহিঁচড়ে শয়নকক্ষে নিয়ে যান টিক্কা এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ কান্নাকাটি শুরু করলে টিক্কা তাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে ওই গৃহবধূ ফোনে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে তিনি বাড়ি এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে রাতে থানায় এসে শহিদুল ইসলাম টিক্কাসহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এ দিকে মামলা হওয়ার পরপরই ঘাটাইল থানা পুলিশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। প্রযুক্তির সহযোগিতায় দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রধান অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টিক্কা ও তার সহযোগী মো. খোকনকে গ্রেপ্তার করেন। আরেক সহযোগী মনির পলাতক।  ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা শহিদুল ইসলাম টিক্কা স্বীকার করেছেন। সহযোগী খোকনসহ টিক্কাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণের সহযোগী আরেকজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
টাঙ্গাইলে স্বামীর হাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খুন
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জেসমিন আক্তার জেমিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে।  শনিবার (২৯ জুন) রাতে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের মাইধার চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত জেমি মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। তাদের সোহান নামে দুই বছের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক মনির ও মনিরের মাকে আটক করেছে পুলিশ।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে মনিরের সঙ্গে প্রেমের বিয়ে হয় জেমির। কিছুদিন না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। শনিবার রাতে কথা-কাটাকাটির জেরে মনির জেমিকে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন জেমিকে প্রথম ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।   ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত স্বামী মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনিরের মাকেও আমাদের হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরটিভিতে সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার / টাঙ্গাইলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ৭ বাস চালককে জরিমানা 
ঈদযাত্রার ফিরতি পথে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বাড়তি ভাড়া আদায়ের প্রমাণ মেলায় ৭ বাস চালককে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  রোববার (২৩ জুন) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কিশোর কুমার দাস।  তিনি বলেন, ‘ঈদ উদযাপন শেষে ফিরতি পথে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে দুপুর থেকে ঘাটাইল বাসস্ট্যান্ডে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৭টি বাসের চালককে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে যাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করে সেজন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।’  জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।  এ সময় ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়াসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  উল্লেখ্য, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে শনিবার আরটিভিতে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রচার হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়। 
টাঙ্গাইলে সিএনজির ধাক্কায় নারীর মৃত্যু 
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কায় এক নারী পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।  শনিবার (২২ জুন) রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের উপজেলার হরিপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ছালাম মিয়া।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলার হরিপুর বাসস্ট্যান্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ওই নারীকে ধাক্কা দেয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। মরদেহ থানায় রাখা হয়েছে। পরিচয় পেলে মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পিকআপভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন।  বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়েকের উপজেলার কদমতলি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন গারট্র গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও কাশতলা গ্রামের জুয়েল রানা।  পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলের তিন আরোহী কদমতলি থেকে ঘাটাইলের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। পরে আহতাবস্থায় আলমগীরকে ঘাটাইল ও জুয়েলকে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।  ঘাটাইল থানার ওসি আবদুস ছালাম মিয়া জানান, লাশ হাসপাতালে রয়েছে। চালককে আটক করা হয়েছে। পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।