• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
logo
ঘাটাইলে এক মাসে পাঁচ ডাকাতি
ঘাটাইলের সেই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার, এলাকায় আনন্দ মিছিল
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো.হাবিবুল্লাহ্কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশ তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় মধুপুর থানায় ২ অক্টোবর একটি মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করে মধুপুর থানা পুলিশ।  পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাবিবুল্লাহর নিজ বাড়ি সাগরদিঘীর হাতিমারা গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বরাবরের মতো ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। পরে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে মধুপুর থানায় নিয়ে যায়। ছাত্র-জনতার অন্দোলনের সময় মারধরের ঘটনায় মধুপুর থানায় ২ অক্টোবরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করে মধুপুর থানা পুলিশ।  এদিকে হাবিবুল্লাহ্ গ্রেপ্তার হওয়ায় তার নিজ এলাকা সাগরদিঘীতে শুক্রবার রাতে আনন্দ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। ঘাটাইল কলেজমোড় এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক লোকের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুফী সিদ্দিকী। গারোবাজার এলাকায়ও মিষ্টি বিতরণ করা হয় বলে জানান রাজিবুল ইসলাম রিয়াজ নামে একজন।  স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ শুধু সাগরদিঘীতে নয় পুরো ঘাটাইলে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি। বিভিন্ন সময় অসংযত আচরণের জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন। বন কর্মকর্তাকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে হুমকি এবং সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গিয়ে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভ করতে দেখা যায় তাকে।  চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সাগরদিঘী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৬ নং ওয়ার্ডের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর রাতারাতি লেবাস পাল্টিয়ে জামায়াত ইসলামীর একটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাকে। তবে উপজেলার জামায়াত ইসলামের আমীর মো. রাসেল মিয়া বলেন, হাবিবুল্লাহ্ তাদের দলের কেউ নন। জামায়াত ইসলামের সঙ্গে হাবিবুল্লাহ্ কোনো সম্পৃক্তা নেই। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, টাঙ্গাইল ডিবি পুলিশের একটি দল চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ্কে গ্রেপ্তার করতে ঘাটাইল থানা পুলিশের সহযোগিতা চায়। থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে মধুপুরের একটি মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সমকালের ঘাটাইল প্রতিনিধি ও ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়াকে হুমকি দেন তিনি। এ নিয়ে থানায় একটি জিডি করেন সমকাল প্রতিনিধি।  আরটিভি/এএএ/এস
টাঙ্গাইলে ‘সেনানীড়’ উদ্বোধন করলেন সেনাপ্রধান
টাঙ্গাইলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
টাঙ্গাইলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর
ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না: টুকু
সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন 
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুল্লাহ বাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক সমকালের ঘাটাইল প্রতিনিধি ও ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুম মিয়ার হাত-পা ভেঙে ফেলা ও প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদ ও তার শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বিভিন্ন প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক, ছাত্র সমাজ ও সুশীল সমাজের লোকজন অংশ নেন। মানববন্ধনে ঘাটাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ কামাল হোসেন, সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহসভাপতি আতা খন্দকার, শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুফি সিদ্দিকী, সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন, টাঙ্গাইলের ছাত্র সমন্বয়ক রকিবুল ইসলাম রাকিব, পৌর বিএনপির সহসভাপতি আজহারুল ইসলামসহ টাঙ্গাইল জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিদাতা দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহকে দ্রুত অপসারণ করতে হবে। পাশাপাশি তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, না হলে বড় ধরনের আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। আরটিভি/আইএম-টি
টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, কলেজছাত্র নিহত 
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মুন নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।  রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সজল খান। নিহত মুন লাউয়াগ্রামের জুলফিকারের ছেলে ও ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।  জানা যায়, এ ঘটনায় তার দুই বন্ধু নয়ন ও জীবন আহত হয়েছেন। তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এ বিষয়ে ওসি সজল খান বলেন, ‘তিন বন্ধু মুন, নয়ন ও জীবন মোটরসাইকেলে করে টিলাবাজার থেকে ঘাটাইল ফিরছিলেন। এ সময় ঘাটাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। পরে মুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নয়ন ও জীবনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’ 
আ.লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিধিবহির্ভূত ৩ প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাগরদিঘীতে অবস্থিত মদিনাতুল উলুম মাদরাসাটি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুল্লাহ্। ওই প্রতিষ্ঠানে একই অর্থবছরে চেয়ারম্যান তিনটি সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দের প্রকল্প দিয়েছেন। টাকায় যার অঙ্ক ৭ লাখ ২৮ হাজার। উন্নয়ন প্রকল্পের আইনে একই অর্থবছরে একইস্থানে বা প্রতিষ্ঠানে একাধিক প্রকল্প দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইনের কোনো তোয়াক্কা করেননি চেয়ারম্যান। অবশ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প দিয়েছেন চেয়ারম্যান। জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি আর সাধারণ ১ম পর্যায়) কর্মসূচির উন্নয়ন প্রকল্পে সাগরদিঘী ইউনিয়নে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়, ‘সাগরদিঘী মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় রাস্তা এইবিবি করণ।’ এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়, ৩ লাখ টাকা। একই কর্মসূচির টিআর দ্বিতীয় পর্যায়ে এই ইউনিয়নে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়, ‘সাগরদিঘী (হাতিমারা) মদিনাতুল উলুম মাদরাসার মসজিদের টাইলস্ করণ।’ যার ব্যয় ধরা হয়, ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা এবং একই কর্মসূচির টিআর তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের নাম, ‘মদিনাতুল উলুম মাদরাসার মাটি ভরাট।’ এই কাজে বরাদ্দ ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান তিন নামে যে প্রকল্প দিয়েছেন নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও প্রতিষ্ঠান একটাই ‘মদিনাতুল উলূম মাদরাসা।’ মাদরাসাটির মালিক ও পরিচালক চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ্। এটি কোনো অবৈতনিক মাদরাসা নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।  এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের বিষয়ে কথা হয় সাগরদিঘী গ্রামের রাসেল ভূঁইয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, তার সন্তান মদিনাতুল উলূম মাদরাসার প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মাস শেষে বেতন দিতে হয় এক হাজার টাকা। মাসুম মিয়ার সন্তান পড়ে প্লে-তে। তিনি জানান, তার মাসিক বেতন দিতে হয় ৮০০ টাকা। পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বেতন এক হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান হিমেল মিয়া নামে অপর অভিভাবক। এ দিকে একই অর্থবছরে একই প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রকল্প দিয়ে ক্ষান্ত হননি চেয়ারম্যান। অভিযোগ উঠেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি যে নির্দেশনা রয়েছে, তাও মানা হয়নি। সরকারি নির্দেশনায় কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে বলা আছে, গ্রামীণ এলাকায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যশস্য সরবরাহ ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, ভরাট কাজে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও তা মাটি কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়নি। শ্রমিক দিয়ে নয়, কাজ হয়েছে যন্ত্র দিয়ে। প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন নারী ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম। তাকে প্রকল্পের কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উল্টো প্রতিবেদককে বলেন, কাজের হিসেব উপজেলায় লেখা আছে সেখান থেকে নেন। এই কথা বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি। একইস্থানে একই অর্থবছরে একাধিক প্রকল্প দেওয়ার বিষয়ে উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এটা অন্যায় অনিয়ম। একইস্থানে এক অর্থবছরে শুধু টিআর নয়, কাবিখা, কাবিটাসহ যেকোনো সরকারি বরাদ্দ দেওয়া আইন পরিপন্থী। সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহকে প্রকল্প দেওয়ার বিষয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একইস্থানে প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান। এভাবে প্রকল্প দেওয়া যায় না। বিষয়টি তাকে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি মানতে রাজি হননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, একই অর্থবছরে একই প্রতিষ্ঠানে একটার বেশি প্রকল্প দেওয়া বিধিবহির্ভূত। বেনামে ব্যবহার করে প্রকল্প দিয়ে থাকলে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেবরের ঘরের বারান্দা থেকে ভাবির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে দেবর রানা মিয়ার ঘরের বারান্দা থেকে হালিমা বেগম নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সকালে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের চিরিঙ্গিবাইদ এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া। পরিবারের দাবি, তাকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। হালিমার স্বামীর নাম ছানোয়ার হোসেন।  পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গৃহবধূ হালিমার লাশ দেবর রানার বারান্দায় ঝুলে থাকতে দেখে লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।  এ বিষয়ে ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’ 
টাঙ্গাইলে গৃহবধূকে ধর্ষণ, সহযোগীসহ অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর করা ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টিক্কা (৫০) ও তার সহযোগী মো. খোকনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরেক সহযোগী মো. মনির (২৩) পলাতক রয়েছেন।  শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাইচাইল গ্রামে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা শহিদুল ইসলাম টিক্কা স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।  স্থানীয়রা জানান, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়ি ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী উপজেলা গোপালপুরের বুটিয়া গ্রামে। তার স্বামী মো. শামীম মণ্ডল ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। তিনি ছুটিতে এসেছেন ১৮ জুলাই। ঘাটাইল উপজেলার বাইচাইল গ্রামে মো. শমসের ওরফে শমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে তিন তলার একটি ফ্লাটে থাকেন তারা।  মামলার বিবরণে জানা যায়, বাইচাইল গ্রামের আতাব আলী খানের ছেলে শহিদুল ইসলাম টিক্কা বাড়ির মালিক শমসেরের নিকটাত্মীয়। তাই টিক্কার নিয়মিত যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে। শনিবার দুপুরে গৃহবধূর স্বামীর খোঁজ করতে ফ্ল্যাটে যান অভিযুক্ত টিক্কা ও তার দুই সহযোগী ঘাটাইল খরাবর গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে মো. খোকন (৪০) ও বাইচাইল দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূরু মিয়ার ছেলে মো. মনির (২৩)। স্বামী ফ্লাটে নেই জানানোর পরও জোর করে টিক্কা কক্ষে প্রবেশ করেন এবং দুই সহযোগীকে বা্ইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিতে বলেন। এ কথা শোনার পর কক্ষ থেকে গৃহবধূ দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করলে টিক্কা তাকে টেনে ধরেন এবং দুই সহযোগী দরজা বন্ধ করে দেন। একপর্যায়ে জোর করে গৃহবধূকে টেনেহিঁচড়ে শয়নকক্ষে নিয়ে যান টিক্কা এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। গৃহবধূ কান্নাকাটি শুরু করলে টিক্কা তাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন। কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে ওই গৃহবধূ ফোনে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে তিনি বাড়ি এসে ঘটনার বিস্তারিত শুনে রাতে থানায় এসে শহিদুল ইসলাম টিক্কাসহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। এ দিকে মামলা হওয়ার পরপরই ঘাটাইল থানা পুলিশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আসামিদের ধরতে অভিযান পরিচালনা শুরু করেন। প্রযুক্তির সহযোগিতায় দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে প্রধান অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম টিক্কা ও তার সহযোগী মো. খোকনকে গ্রেপ্তার করেন। আরেক সহযোগী মনির পলাতক।  ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা শহিদুল ইসলাম টিক্কা স্বীকার করেছেন। সহযোগী খোকনসহ টিক্কাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণের সহযোগী আরেকজনকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 
টাঙ্গাইলে স্বামীর হাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খুন
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী জেসমিন আক্তার জেমিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী মনির হোসেনের বিরুদ্ধে।  শনিবার (২৯ জুন) রাতে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের মাইধার চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত জেমি মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। তাদের সোহান নামে দুই বছের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। এ ঘটনায় ঘাতক মনির ও মনিরের মাকে আটক করেছে পুলিশ।  পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, চার বছর আগে মনিরের সঙ্গে প্রেমের বিয়ে হয় জেমির। কিছুদিন না যেতেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। শনিবার রাতে কথা-কাটাকাটির জেরে মনির জেমিকে এলোপাতাড়ি মারপিট করলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন জেমিকে প্রথম ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।   ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া বলেন, অভিযুক্ত স্বামী মনিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মনিরের মাকেও আমাদের হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।