• ঢাকা সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ভিক্ষুকদের মাঝে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান বিতরণ
টাঙ্গাইলে উপজেলা আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
টাঙ্গাইলের বাসাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান গাউসকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।  শনিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টায় তার নিজ বাড়ি বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাসাইল সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর শেখ ইসতিয়াক উদ্দিন।  আটক মতিয়ার রহমান গাউস বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকার আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত ৮টায় সেনাবাহিনীর একটি টিম বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় মতিয়ার রহমান গাউসের বাড়ি ঘেরাও করে সেনাবাহিনী। পরে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনা ক্যাম্পে নেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে রাত ১০টার দিকে বাসাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়। বাসাইল সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর শেখ ইসতিয়াক উদ্দিন বলেন, ‘নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ এ বিষয়ে বাসাইল থানার ওসি জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ওই আওয়ামী লীগ নেতা থানা হেফাজতে রয়েছে। কোন মামলায় তা‌কে গ্রেপ্তার দেখা‌নো হবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। রোববার বিস্তারিত জানতে পারবেন।’ আরটিভি/এমকে
জমি নিয়ে বিরোধ / মসজিদে মাইকিং করে সংঘর্ষ, বৃদ্ধা নিহত
টাঙ্গাইলে ট্রাকচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগা‌যোগ স্বাভাবিক
বাসাইলের সেই সাবেক ইউএনওর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বাসাইলে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় কলেজছাত্রের মৃত্যু
টাঙ্গাইলের বাসাইলে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে জিজান হাসান দীপ্ত (১৮) নামের এক মেধাবী শিক্ষার্থী কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।  শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৬টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।  বাসাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।   কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ বলেন, ‘কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে কলেজছাত্র জিজান হাসান দীপ্ত ২৪ জানুয়ারি থেকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে হামলার ৯দিন পর জিজান হাসান দীপ্ত আজ ভোরে মৃত্যুবরণ করেন।’ এদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের মূলহোতা শাকিল আহাম্মেদ ওরফে টিকটক শাকিলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত জিজান হাসান দীপ্ত সখীপুর উপজেলার চাকদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মল্লিকের ছেলে। দীপ্ত ঢাকায় বিজিবি পিলখানায় অবস্থিত বীর শ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ থেকে ২০২৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। দীপ্ত মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  এ ঘটনায় জিজান হাসান দীপ্তের মা সোহেলী সুলতানা দিপা বাদি হয়ে ২৭ জানুয়ারি বাসাইল থানায় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান বাসাইল থানাপাড়ার হোসেন আলীর ছেলে শাকিল আহাম্মেদ (২৫), বাসাইল শ্মশানঘাটা এলাকার টুইনা ওরফে টুনু মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪), থানাপাড়ার শাহ আলমের ছেলে স্বাধীন মিয়া (২০), বিরু আহাম্মেদের ছেলে মনা মিয়া (১৯), থানাপাড়ার মনির হোসেনের ছেলে অনিক মিয়া (১৯), একই এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে রাহাত হাসান (২০), শুকুর মিয়ার ছেলে জিহাদ মিয়া (১৯) ও কালু মিয়ার ছেলে সিমান্ত মিয়ার (১৯) নাম উল্লেখ করে আরও ৩/৪জন অজ্ঞাত যুবকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।  মামলার পর পুলিশ ঘটনার মূলহোতা শাকিল ও তার সহযোগী অনিক এবং আসাদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। শাকিল ও অনিককে গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি রাম দা ও লোহার পাইপে মোটরসাইকেলের চেইন, প্রিমিয়াম ঝালাইযুক্ত দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এরপর শাকিল ও অনিকের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনেও মামলা হয়েছে। বর্তমানে তারা তিনজন কারাগারে রয়েছে। জানা যায়, জিজান হাসান দীপ্ত গত ২৩ জানুয়ারি বাসাইল দক্ষিণপাড়া এলাকায় তার নানা রফিকুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে ২৪ জানুয়ারি দুপুরে সমবয়সী বাসাইল উত্তরপাড়ার নাঈম ও সজল খানের সঙ্গে জিজান হাসান দীপ্ত বাসাইল বাজারে বেড়াতে যান। সেখান থেকে নাঈমকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিল বাসাইল বাজারের একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। এ সময় জিজান হাসান দীপ্ত ও সজল খানও উপস্থিত ছিলেন। এরপর সন্ধ্যায় আবার তারা তিনজনে মিলে বাসাইল বাজারের দিকে যাওয়ার সময় বাসাইল মনি ক্লিনিকের সামনের মোড়ে পৌঁছালে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিলের নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।  পরে নাঈম ও সজল প্রাণরক্ষা করতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় জিজান হাসান দীপ্তকে ধারালো দা, কাঠের স্ট্যাম্প, লোহার পাইপে মোটরসাইকেলের চেইন প্রিমিয়াম ঝালাইযুক্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান শাকিলসহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে জিজান হাসান দীপ্তকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখান থেকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। ওইদিন থেকে দীপ্তকে ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। মামলার আইও বাসাইল থানার এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলেটি সকালে মারা গেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূলহোতা শাকিল ও অনিককে রিমাণ্ডে আনার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
নৌকায় জাল ভোটের অভিযোগে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনের বাসাইল উপজেলার সুন্না আব্বাছিয়া উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে নৌকায় জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৭ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নৌকার এক সমর্থক জাল ভোট দেওয়ার জন্য বুথে প্রবেশ করেন। এ সময় গামছার সমর্থকরা তাকে ধরে ফেলেন। পরে বিষয়টি তাৎক্ষণিক ছড়িয়ে পড়লে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে একই এলাকার ভোটার হওয়া সত্ত্বেও শাহীন আলম নামের একজনকে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই পোলিং অফিসার শাহীন নৌকার পক্ষ নিয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলে কাদের সিদ্দিকীর গামছা প্রতীকের সমর্থকেরা। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পোলিং অফিসার শাহীনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সুন্না আব্বাছিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুস ছালাম বলেন, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। একজন পোলিং অফিসারকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয়ের সঙ্গে লড়ছেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম। তারা ছাড়াও আরও চারজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।