• ঢাকা রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
logo
টাঙ্গাইলে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার 
হাসিনার পতনের পর বন্ধ হয়েছে অবৈধ বালু ঘাট, খুশি স্থানীয়রা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। সেই সময় থেকেই বন্ধ রয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বালু ঘাট। এতোদিন বালু ঘাটগুলো আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের দখলে থাকলেও ক্ষমতা হারানোর পর হামলা-মামলার ভয়ে অনেকই গাঁ ঢাকা দিয়েছেন। ফলে বন্ধ রয়েছে ঘাটগুলোর কার্যক্রম। সিরাজগঞ্জ মহাল থেকে নামেমাত্র বালু ক্রয় করে নিয়ে আসলেও প্রভাব আর ক্ষমতার দাপটে বেশির ভাগ বালু অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা হতো৷  এদিকে বিগত বছরগুলোতে বালু ঘাটের দখল নিয়ে প্রায়ই ঘটতো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা। যমুনা নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলণের ফলে ভাঙনে বিলীন হতো ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। চোখের সামনে স্থাপনা বিলীন হলেও প্রতিবাদ করার সাহস ছিলোনা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর। দেড় যুগে সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি পরিবার। বেশির ভাগ পরিবারের ঠাঁই হয়েছে গোবিন্দাসী-যমুনাসেতু কন্ট্রাক্ট-৭ বাঁধের পাশে। এছাড়া বালুবাহী লাইসেন্সবিহীন ১০ চাকার হাইড্রোলিক ট্রাকে প্রাণ হারিয়েছে অনেকেই। ধুলাবালিতে দুষিত হতো পরিবেশ।নষ্ট হতো গ্রামীণ, আঞ্চলিক ও মহাসড়কগুলো। এতোকিছুর পরও এসব অবৈধ বালুর ঘাট চলছিলো ক্ষমতার দাপটে।  সরজমিনে জানা গেছে, উপজেলার নিকরাইল, গোবিন্দাসী, অর্জুনা ও ফলদা ইউনিয়নে যমুনা নদী ঘিরে ৩০টির মতো অবৈধ বালুর ঘাট গড়ে উঠেছে। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এসব ঘাট থেকে শত শত ট্রাকযোগে বালু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়। ঘাটগুলোতে যেতে যাতায়াতের রাস্তা তৈরি হয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষের পুকুর ভরাট করে। যদিও এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছে সেতু কর্তৃপক্ষকে। বালুর ট্রাক যমুনা সেতু-ভূঞাপুর সড়কে চলাচল করায় সবসময় যানজট লেগে থাকতো। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো যাত্রী ও চালকদের। ধুলায় গাছপালা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয়রা ঠান্ডাজনিত রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতো। এছাড়া বালুবাহী ট্রাক চলাচল করায় সড়ক, মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি নম্বরবিহীন হাইড্রোলিক ট্রাকের চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে অনেক।  এ দিকে অবৈধ এসব বালুর ঘাট দখলে নিতে প্রভাবশালী ও জনপ্রতিনিধিরা প্রায়ই সংঘর্ষে লিপ্ত হতো। ২০১২ সালের বালু মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যমুনা নদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন ও তার শ্যালক শাকিল আহমেদ টিক্কা নিহত হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে বালুর ঘাট এলাকা থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বালু ঘাটকে কেন্দ্র করে এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের মহড়া ও মাদকের বিস্তার ঘটে।  একটি সূত্র জানায়, ২০০১ সাল থেকে কোনো বালুর ঘাট ইজারা দেওয়া হয়নি। সরকারি কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে এতোদিন অবৈধভাবে ঘাট স্থাপন করে বালু বিক্রি আসছিলো ক্ষমতাসীনরা।  স্থানীয়রা জানান, যমুনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলেই নানা ধরনের হুমকি ধামকি দেয়া হতো। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রি বন্ধ রয়েছে। নতুন সরকারের কাছে তাদের দাবি যাতে করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে।  এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল বিষয় মনিটরিং করা হচ্ছে।’ 
প্রেমিকাকে না পাওয়ায় কলেজছাত্রের আত্মহত্যা
ভূঞাপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় 
যমুনার পানি সামান্য কমলেও বন্যায় ভাসছে ঘরবাড়ি
টাঙ্গাইলে বন্যার্তদের মাঝে চাল বিতরণ
টাঙ্গাইলে প্রতিবন্ধীরা পেল হুইল চেয়ার 
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৫ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।  রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস বেগম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার মোখলেছুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হাসান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা, অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, নিকরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ প্রমুখ।
টাঙ্গাইলে বন্যা আতঙ্ক, ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বেড়েছে ৩৩ সেন্টিমিটার
উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বর্ষণে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর পানি ৩৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও ঝিনাই নদীর পানি বিপদসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।  মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন আরটিভি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ দিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার টাঙ্গাইল সদর, কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলার নিচু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে পাট, তিলসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। দেখা দিয়েছে বন্যা আতঙ্ক। জেলার কয়েকটি জায়গায় দেখা দিয়েছে ভাঙন। হুমকিতে রয়েছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মাদ্রাসাসহ না স্থাপনা।  এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে যমুনা, ঝিনাই, ধলেশ্বরীসহ সবকটি নদীর পানি বাড়ছে। তবে বড় ধরনের কোনো বন্যার সম্ভাবনা নেই।’
টাঙ্গাইলে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে পারলেন না ২২ পরীক্ষার্থী
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ক‌লেজ কর্তৃপ‌ক্ষের অব‌হেলা ও এক শিক্ষ‌কের জালিয়াতির কার‌ণে এইচএস‌সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পা‌রে‌ননি ২২ জন পরীক্ষার্থী।  রোববার (৩০ জুন) সকা‌লের পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ জন পরীক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হ‌য়ে নিকরাইলের পল‌শিয়া রানী দীনম‌নি উচ্চবিদ‌্যাল‌য় কে‌ন্দ্রে গি‌য়ে আন্দোলন শুরু ভাঙচুর কর‌তে থা‌কেন। প‌রে অতিরিক্ত পু‌লিশ ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনে। স‌রেজ‌মি‌নে দেখা গে‌ছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারায় কে‌ন্দ্রের বাইরে গে‌টে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অভিভাবকরাও কে‌ন্দ্রের বাইরে পরীক্ষার্থী‌দের সান্ত্বনা দি‌চ্ছেন আর দোষী‌দের বিরু‌দ্ধে শা‌স্তিমূলক ব‌্যবস্থা গ্রহ‌ণের জোর দাবি জানা‌চ্ছেন। জানা গে‌ছে, উপ‌জেলার নিকরাইল শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জ কর্তৃপক্ষ এইচএস‌সি পরীক্ষার জন‌্য নির্ধা‌রিত টাকার চে‌য়ে বাড়‌তি টাকা দাবি ক‌রে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বাড়‌তি টাকা দি‌তে অস্বীকার ক‌রে। প‌রে ওই ক‌লে‌জের বাংলা বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন এ সু‌যো‌গে ২২ জন পরীক্ষার্থীর কাছ থে‌কে ৩ থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত  টাকা নেয় ফরম পূরণের জন‌্য। কিন্তু পরব‌র্তীতে ওই শিক্ষার্থী‌দের বোর্ড থে‌কে কোন রে‌জি‌স্ট্রেশ‌ন কার্ড বা প্রবেশপত্র দেওয়া হয়‌নি। শ‌নিবার (২৯ জুন) ২২ জন পরীক্ষার্থী ক‌লে‌জে গি‌য়ে প্রবেশপত্র নি‌তে গে‌লে তা‌দের ফরম পূরণ হয়নি ব‌লে জা‌নি‌য়ে দেওয়া হয়। প‌রে শিক্ষার্থীরা শিক্ষক লোকমান হো‌সেনের সঙ্গে যোগা‌যোগ ক‌রেও কোন সুরাহা পায়‌নি। শম‌সের পরীক্ষা ডিগ্রি ক‌লেজ থে‌কে নিয়‌মিত ও অনিয়মিত মি‌লি‌য়ে এই পল‌শিয়া রানী দীনম‌নি উচ্চ বিদ‌্যালয় কেন্দ্রে এইচএস‌সি পরীক্ষায় ১৭১ জন অংশগ্রহণ ক‌রে‌ছে। এ ঘটনায় প্রবেশপত্র বা‌তিল হওয়া পরীক্ষার্থীরা সকা‌লে পরীক্ষা শুরুর আগে কে‌ন্দ্রে গি‌য়ে বি‌ক্ষোভ ও ভাঙচুর ক‌রেন। প‌রে কেন্দ্রের দা‌য়িত্বরত পু‌লি‌শ সদস‌্যদের সঙ্গে পরীক্ষার্থী‌দের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। সেখা‌নে অতিরিক্ত পু‌লিশ সদস‌্য মোতা‌য়েনের পাশাপা‌শি প্রশাস‌নের আশ্বা‌সের পর পরীক্ষার্থীরা আন্দোলন শেষ ক‌রে কেন্দ্র ত‌্যাগ ক‌রেন। পরীক্ষার্থীরা জানান, কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবিকৃত ৮ হাজার টাকা দি‌তে না পারায় ফরম পূরণ ক‌রে‌নি। প‌রে ক‌লে‌জের বাংলা প্রভাষক লোকমানের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে জালিয়াতির শিকার হ‌য়ে‌ছি। টাকা দি‌য়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পারলাম না। আমা‌দের ভ‌বিষ‌্যৎ নষ্ট হ‌য়ে যা‌বে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষ‌কের প্রতারণার কার‌ণে। আমরা যেকোন মূ‌ল্যে পরীক্ষা দি‌তে চাই। শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের বাংলা‌ বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন ব‌লেন, ‘ওই ২২ জন শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হ‌য়ে‌ছে। সকল প্রমাণপত্র আমার কা‌ছে র‌য়ে‌ছে। কিন্তু গতকাল রা‌তে ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ‌্যক্ষ বো‌র্ডে ফোন ক‌রে ২২ জন পরীক্ষার্থীর ফরম বা‌তিল ক‌রেছেন।’ ত‌বে শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ‌্যক্ষ মো. আক্তারুজাজামান বলেন, পরীক্ষার্থীরা ক‌লে‌জে‌ কোন যোগাযোগ করেনি। অনেক শিক্ষার্থী‌কে বিনামূ‌ল্যে ফরম পূরণ করা হ‌য়ে‌ছে। বাড়‌তি ফি নেওয়া হয়‌নি। শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ সত‌্য না। ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) আহসান উল্লাহ জানান, পরীক্ষা দি‌তে না পারা শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হ‌য়ে কে‌ন্দ্রে আন্দোলন শুরু ক‌রেন। ‌প‌রে কেন্দ্রে অতিরিক্ত পু‌লিশ মোতা‌য়েন ক‌রে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কমর্কর্তা মো. মামুনুর রশীদ জানান, ২২ জন পরীক্ষার্থী ক‌লেজ কর্তৃপ‌ক্ষের অগোচরে এবং অবৈধভাবে এইচএস‌সি ফরম পূরণ ক‌রেছে ব‌লে ক‌লেজ অধ‌্যক্ষ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর লি‌খিত অভিযোগ ক‌রেন। প‌রে বোর্ড ওই ২২ জন পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণ বা‌তিল করায় তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পার‌ছেন না। শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ খ‌তি‌য়ে দে‌খে দোষী‌দের বিরু‌দ্ধে ব‌্যবস্থা গ্রহণ করা হ‌বে। 
যমুনায় পানি, ফসল নিয়ে চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ
উজান থেকে নেমে আসা ঢলে প্রমত্তা যমুনা নদী এখন ভরা যৌবনে। টাঙ্গাইলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃদ্ধি পাচ্ছে এ নদীর পানি। এতে করে জেলার ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা নদী চরাঞ্চলের কৃষকদের দুশ্চিন্তাও বেড়ে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতোমধ্যে উপজেলার গাবসারা, অর্জুনা, নিকরাইল ও গোবিন্দাসী ইউনিয়নের যমুনা নদী চরাঞ্চলগুলোর অসংখ্য ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এ দিকে যমুনার পানিতে অপরিপক্ক তিল তলিয়ে যাওয়ার কারণে চরাঞ্চলে রোপণ করা তিল উঠিয়ে ফেলছেন কৃষকরা। এ ছাড়াও ছোট ছোট পাট গাছও তলিয়ে গেছে অনেকের। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা।  অপরদিকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে তীব্র পানির স্রোতে চরাঞ্চলের ফসলি জমিগুলো ভেঙে গিয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।  গাবসারার কালিপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আলীম বলেন, ‘নদীতে কয়েক সপ্তাহ ধরে পানি বাড়ছে। এতে করে চরাঞ্চলের বিভিন্ন নিচু জায়গায় পানিতে ভরে গেছে। তলিয়ে যাচ্ছে তিল, পাটসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল। এবার কয়েক বিঘা জমিতে তিল চাষ করেছি। পানি আসায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই তুলে ফেলতে হচ্ছে। যার কারণে চলতি মৌসুমে তিল চাষে অনেকটা লোকসানের মুখে পড়তে হবে।’ অর্জুনার জগৎপুরা গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন সরকার বলেন, ‘চরাঞ্চলে নতুন পানি প্রবেশ করেছে। তবে আজ কিছুটা পানি কমলেও নিচু জমির ফসলগুলো তলিয়ে গেছে। তারমধ্যে তিল ও ছোট ছোট পাট গাছ বেশি ক্ষতি হয়েছে। অনেকেই অপরিকল্পিত তিল তুলে ফেলছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে তিল ও পাট চাষে লোকসান হবে কৃষকের। এ ছাড়া অন্যান্য ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছি।’  জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, জেলার পোড়াবাড়ী পয়েন্টে যমুনা নদীতে গত দুদিন পানি বৃদ্ধি পায়নি। ফলে ১০ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার থেকে বর্তমানে ১০ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১ দশমিক ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে যমুনার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদীতে পানি কমলেও তলিয়ে যাওয়া তিল গাছ পচে গেছে। তবে কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে বন্যায় এখন পর্যন্ত ২০ হেক্টর জমির অপরিপক্ব তিল পানিতে তলিয়ে পচে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া পাট চাষ হয়েছে ২ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমি এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ৩২ হেক্টর জমি। ক্ষতিগ্রস্ত এসব কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে।’ 
মাথার খুলি ঘিরে রহস্য, নিখোঁজ শিশু শর্মিলার কিনা এ নিয়ে ধূম্রজাল
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ডোবার পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। দেহের বাকি অংশের এখনও সন্ধান মেলেনি। মাথার খুলিটি ৯ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া শিশু শর্মিলার কিনা এ নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল। তবে ঘটনাস্থলে মিলেছে নিখোঁজ হওয়া শিশুর জামা। পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষার পর জানা যাবে মাথার খুলিটি কার। সোমবার (৩ মে) উপজেলার গো‌বিন্দাসী ইউনিয়‌নের চিতু‌লিয়া পূর্বপাড়া এলাকার ধানখেত থেকে বস্তাব‌ন্দি অবস্থায় এ মাথার খুলিটি উদ্ধার করা হয়। সরেজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার চিতুলিয়া পাড়া এলাকায় ডোবার পাশে প্লাস্টিকের ব্যাগ টানাটানি করছিল কুকুর। বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল মাংসের টুকরো। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল চারদিকে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়েই ছুটে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই ৯ দিন আগে নিখোঁজ হওয়া ১০ বছরের ফুটফুটে শিশু নওসিন ইসলাম শর্মিলার বাড়ি। গত ২৬ মে নিখোঁজ হয় খেলতে গিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, মাথার খুলিটি শিশু শর্মিলার। তবে দেহের অন্যান্য অংশের এখনও কোনো সন্ধান মেলেনি। কোথায় রয়েছে বাকি অংশ এ নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। এরপরই এর রহস্য উদঘাটন হবে। শিশুটির বাবা সুমন মিয়া জানিয়েছেন, ডোবার পাশ থেকে যে জামা পাওয়া গেছে সেটি নিখোঁজের সময় সেটি তার মেয়ের পরনে ছিলো।  শিশু শর্মিলার বাবা সুমন মিয়া বলেন, ‘গত ২৬ মে মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় শর্মিলা। পরে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তার। থানায় জিডিও করা হয়। আজ যেখানে খুলি পাওয়া গেছে ওই জায়গা দিয়ে কয়েকবার খোঁজাখুঁজি করা হয়েছে। কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। আজ সকালে কুকুরে মাথার খুলি টানাটানি করছিল। পরে লোকজনের খবর শুনে এখানে আসি। ডোবার পাশে আমার মেয়ের জামা পাওয়া গেছে। তবে এটা আমার মেয়ের মাথার খুলি কিনা এটা তদন্তের পর জানা যাবে।’ স্থানীয়রা জানান, এটা শর্মিলার মাথার খুলি কিনা সন্দেহ রয়েছে। কেউ ঘটনা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য এ ধরনের কাজ করতে পারে।  তবে তারা পুলিশকে গভীর তদন্তের অনুরোধ জানান।  এ দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, ভূঞাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আহসান উল্লাহসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও ঘটনাস্থালে আসেন সিআইডি ও পিবিআইয়ের টিম।  এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম রয়েছে। মাথার খুলির ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। পরে জানা যাবে মাথার খুলিটি নিখোঁজ শিশু শর্মিলার কিনা।’ 
এক নারীর কাছে চার পুরুষের পরাজয়!
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী অংশ নেন। দোয়াত কলম প্রতীকে নার্গিস বেগম, হেলিকপ্টার প্রতীকে ফিরোজ চৌধুরী, ঘোড়া প্রতীকে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু, মোটরসাইকেল প্রতীকে আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ ও আনারস প্রতীকে তাহেরুল ইসলাম তোতা ভোট যুদ্ধে নামেন। শেষমেশ আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ ও তাহেরুল ইসলাম তোতা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও তাদের প্রতীক রয়ে যায়।  নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার (দোয়াত কলম) ৩০ হাজার ৩৬৪ ভোট পেয়ে পুনরায় বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফিরোজ চৌধুরী (হেলিকপ্টার) পান ৫ হাজার ৮৩৯ ভোট। এছাড়াও মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু (ঘোড়া) পান ৩ হাজার ১০৫ ভোট, আমিরুল ইসলাম তালুকদার বিদ্যুৎ (মোটরসাইকেল) পান  ৪৫১ ভোট এবং তাহেরুল ইসলাম তোতা পান ১৮৫ ভোট।  মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচনের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী এ ফলাফল ঘোষণা করেন।  এর আগে মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণভাবে দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলের কালিহাতী, ভূঞাপুর এবং ঘাটাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ ৮টা একটানা বিকেলে ৪টা পর্যন্ত চলে। নির্বাচনে  ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷  নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ৭ প্লাটুন বিজিবিসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয় ।