• ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১
logo
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া
পঞ্চগড়ে অর্ধকোটি টাকা মূল্যের কোকেন-হেরোইন জব্দ
পঞ্চগড়ে যাত্রীবাহী বাস থেকে প্রায় এক কেজি একশ গ্রাম কোকেন এবং ৭৫ গ্রাম হেরোইন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এর বাজার মূল্য প্রায় ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।  মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর বাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে এসব মাদক জব্দ করা হয়। তবে, কোকেন এবং হেরোইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় তেঁতুলিয়া থেকে মাদক আসছে। তাৎক্ষণিক ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মোর্শেদের নির্দেশনায় সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বাংলাবান্ধা থেকে পঞ্চগড়গামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়।  বাসের লকার/বাংকারে একটি ব্যাগ তল্লাশি করে এক কেজি একশত গ্রাম কোকেন এবং ৭৫ গ্রাম হেরোইন পাওয়া যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর এর আনুমানিক মূল্য ৫৪ লাখ ৫৫ হাজার ১০০ টাকা নিরূপণ করে। জব্দ করা কোকেন ও হেরোইন তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। পঞ্চগড় বিজিবি ১৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মেজর রিয়াদ মোর্শেদ জানান, সীমান্তে চোরাচালান এবং হত্যা রোধে পঞ্চগড় বিজিবি তৎপর রয়েছে। কোনো মাদক কারবারি চক্রের মাধ্যমেও এসব মাদক আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।   আরটিভি/এএএ/এআর
পঞ্চগড়ে তাপমাত্রার পারদ ৯ ডিগ্রির ঘরে
৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় কাঁপছে পঞ্চগড়
কমেছে তাপমাত্রা, তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি
পঞ্চগড়ে সিপিবির পথসভায় বাধা, কেড়ে নেওয়া হলো ব্যানার-মাইক্রোফোন
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) এক পথসভায় বাধা দেওয়া হয়েছে। বাধা দানকারী ব্যক্তিরা নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়েছেন বলে সিপিবির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের তেঁতুলতলায় ‘শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’ শীর্ষক পথসভায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কেড়ে নেওয়া হয় পথসভার মাইক্রোফোন। এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বাধা দেওয়ার ছবিসহ পোস্ট করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি লিখেছেন, তেঁতুলিয়া, পঞ্চগড় এর তেঁতুলতলায় পথসভায় বক্তব্য শেষ করতে পারলাম না। পথসভা করতে দেওয়া হলো না। ওরা কারা? প্রশাসনের কোনো ভূমিকা নেই। সারা দিনের অন্যান্য কর্মসূচি চলবে। ধৈর্যেরও সীমা আছে!! সিপিবির সাধারণ সম্পাদকের পোস্টটি মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের নেতিবাচক মন্তব্য করতে দেখা গেছে। ছড়িয়ে পড়া ছবির মধ্যে সভায় বাধা দেওয়া যুবকের নাম হযরত আলী বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, পথসভায় হযরত আলী নামে এক যুবক নিজেকে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে সিপিবির ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে সভায় বক্তব্যরত সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তারা সিপিবি নেতাদের ফ্যাসিস্টদের দোসর আখ্যা দিয়ে পথসভায় বাধা দিয়ে সভা পণ্ড করে দেন। ঘটনার বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসানাত আব্দুল্লাহকে অভিযোগ দিয়েছেন রুহিন হোসেন প্রিন্স। তেঁতুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো কমিটি নেই বলে প্রিন্সকে জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। রুহিন হোসেন প্রিন্স গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, কয়েকজন ছেলে আমাদের পথসভায় এসে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আমার হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনকে শাসিয়ে বলতে শুরু করেন, আপনারা এখানে কী করছেন। তখন আমি তাদের বলি আমার সঙ্গে কথা বলো। তারা উচ্চস্বরে চিৎকার চেঁচামেচি করে ব্যানার কেড়ে নেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশের কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি। ওসি উপস্থিত থাকলেও তার ভূমিকা রহস্যজনক মনে হয়েছে। পরে আমরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে আসি। আমরা এটাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। সিপিবির পঞ্চগড় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে এক যুবক বলেন, আমরা নাকি আওয়ামী লীগের সাথে ছিলাম, এতদিন কই ছিলাম? পরে তারা প্রিন্স ভাইয়ের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়। ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের অনুষ্ঠানে বাধা দেয়, চেয়ার ভাঙচুর করেন। আমরা তাদের বারবার বোঝাবার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তারা কোনো কথাই শোনেননি। পরে পুলিশকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ছেলেগুলো আমাদের মোবাইগুলো নিয়ে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ডিলিট করে দেন।  অন্যদিকে অভিযুক্ত হয়রত আলী সব অভিযোগ অস্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগের হাতে মানুষ নির্যাতিত। তাদের কিছু দোসরদের নিয়ে তারা এই পথসভা করছিল। স্থানীয়রা পথসভায় আওয়ামী লীগের কয়েকজনকে দেখে তাদের বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। বিষয়টি জেনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং সমাধান করে দেই। আমি কারো ব্যানার ছিনিয়ে নেইনি, পথসভায় বাধাও দেইনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বিষয়টি জানতে আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। আমি যেটা সত্য তা ওনাকে জানিয়েছি। আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র অন্দোলনের শুরু থেকে তেঁতুলিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলাম। তবে তেঁতুলিয়ায় আমাদের কোনো কমিটি নেই। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত কবির বলেন, ঘটনার পর খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। শুনেছি একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ঘটনার পর সবাই চলে গিয়েছে। কে বাধা দিয়েছে, তাদের পরিচয় কেউ বলতে পারছে না। এ নিয়ে সিপিবির পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। আরটিভি/এএএ
তেঁতুলিয়ায় হরিজন সম্প্রদায়ের ছট পূজা উদযাপিত
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত নদী মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে হরিজন সম্প্রদায়ের সদস্যরা ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ছট পূজা পালন করছেন। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নের ঈদগাঁহবস্তী এলাকার মহানন্দা নদীর তীরে এই পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। পূজার শেষ দিন সূর্যোদয়ের সময় স্নান, পূজা-অর্চনা এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। ছট পূজায় মূলত তিন দিন উপবাস থেকে সূর্য নারায়ণের পূজা করা হয়। এ পূজার মাধ্যমে মনোবাসনা পূর্ণ করা, বিপদ-আপদ দূরীকরণ এবং বিভিন্ন মানতের পূর্ণতা লাভের উদ্দেশ্য থাকে। হাজার হাজার পুণ্যার্থী এই পূজায় অংশ নিয়ে প্রার্থনা করেন। প্রতিবছর দুই দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মহানন্দা নদীর দুই পাড়ে একসঙ্গে এই পূজা পালন করতেন। তবে সীমান্ত আইন কঠোর হওয়ায় এক সময় দুই দেশের মানুষের মিলিত পূজা আয়োজন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তের পাশে বিজিবির নিরাপত্তায়, দুই দেশের হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ আবারও একত্রিত হয়ে এই উৎসব পালন করতে শুরু করেছেন। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তকে আলাদা করেছে মহানন্দা নদী, কিন্তু এই নদীর তীরে দুটি দেশের মানুষ মিলিত হয়ে আনন্দ-উৎসব উপভোগ করেন। বর্তমানে বিজিবির নিরাপত্তায়, দুই দেশের হরিজনরা পূজার আয়োজন করছেন, যা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক দৃষ্টান্ত। পঞ্চগড় ১৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এটি বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি বড় উদাহরণ। এখানে দুই দেশের হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে পূজা করছেন। বিজিবি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে এবং তাদের সহায়তা প্রদান করছে। আরটিভি/এএএ
ভোটের জন্য অভ্যুত্থান হয়নি, আগে সিস্টেম ঠিক করতে হবে: সারজিস
‘জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, একটি ভোটের জন্য এতবড় গণ-অভ্যুত্থান হয়নি। ভোটের পরিবর্তে করাপ্টেড সিস্টেমগুলো ঠিক করা জরুরি, তা করতে হবে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন। সারজিস আলম বলেন, শুধু ভোট দেওয়ার জন্য দুই হাজারের বেশি মানুষ জীবন দেয়নি। প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ রক্ত দেননি। তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে আমরা সরকারেরও গঠনমূলক সমালোচনা করি। বর্তমানে যে সিস্টেমগুলোর ওপর বাংলাদেশের মানুষ বিরক্ত, যেগুলো দেখতে দেখতে মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে—সেই সিস্টেমগুলোর সংস্কার জরুরি। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার অতি দ্রুত সেই সিস্টেমগুলো সংস্কার করবে। দেশের মানুষ যা প্রত্যাশা করে সরকার যেন সেভাবে কাজ করে।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলার সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি, সমন্বয়ক মোকাদ্দেসুর রহমান সান, বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক কাবুল হোসেনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আরটিভি/এএএ/এআর 
ভোটের বয়স ১৫ বছর করা উচিত: হাসনাত আব্দুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, ভোটের বয়স ১৫ বছরে দিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ, এখন সবাই অনেক সচেতন। ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত আমাদের পূর্ব প্রজন্ম ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং আমাদের কাঁধ শক্ত করতে হবে। যেন আমরা তাদের দায়িত্ব নিতে পারি। একই সঙ্গে আগামীর প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।  বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজী শাহাবুদ্দিন গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, যে দলই হোক না কেন দলকানা হওয়া যাবে না। তাহলে কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে যাবে, একনায়ক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, কেউ যদি আপনার কথা শোনে, আপনার কথা বলে, আপনার জন্য কাজ করে এবং আপনার কাছে জবাবদিহি করার জন্য প্রস্তুত থাকে সে যেই হোক না কেন প্রতিনিধি হিসেবে তাকেই বেছে নেবেন। আমাদের তরুণদের এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। দেশে এত বড় একটা গণহত্যা চালানো হয়েছে, সেটা কী কারণে হয়েছে—এটা মনে রাখতে হবে। যারা ক্ষমতা পিপাসু যাদের কাছে জীবনের চেয়ে ক্ষমতার মূল্য বেশি তাদের আমাদের এখন থেকে পরিত্যাগ করতে হবে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী ও মোকাদ্দেসুর রহমান সানসহ সহসমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ তেতুঁলিয়া উপজেলার ভজনপুর বেগম খালেদা জিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও পরে তেতুঁলিয়া পাইলট সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আরটিভি/এএএ/এসএ
পাচারের সময় ৩ রোহিঙ্গা কিশোরী উদ্ধার
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তিন রোহিঙ্গা কিশোরীকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্যকে নিয়ে ওই তিন রোহিঙ্গা তরুণীকে তেঁতুলিয়ার সদর ইউনিয়ন পরিষদে হেফাজতে রাখা হয়। আটককৃতরা রোহিঙ্গা কিশোরী হলেন মাইজুমা (১৭), শারমিন আক্তার (১৭) ও নুরছাফা (১৮)। তারা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। দুপুরে বিজিবি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মঙ্গলবার ভোর রাত ৫টার দিকে পঞ্চগড় ব্যাটালিয়নের (১৮ বিজিবি) অধীনস্থ শারিয়ালজোত বিওপি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা সীমান্ত মেইন পিলার ৪২১ দিয়ে এক মানবপাচারকারী চক্র কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ৭টার দিকে বিজিবির টহল দল ও স্থানীয়দের নিয়ে দর্জিপাড়া গ্রামের প্রাথমিক এলাকায় পাচারকারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে ধাওয়া করলে পাচারকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৩ কিশোরীকে বিজিবির টহলদল উদ্ধার করে। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, আটককৃত তিন কিশোরী রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা। পাচারকারী মো. ইসমাইল হোসেনের প্রতারণার খপ্পরে পরে তারা অত্র এলাকায় চলে আসে।  তারা আরও জানায়, ইসমাইল হোসেন কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দা। তাদেরকে ভারতে পাচারের লক্ষ্যে সোমবার ইসমাইল তাদের পঞ্চগড়ে নিয়ে আসে। আটককৃত রোহিঙ্গা নাগরিকদের তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, সকালে ওই তিন নারী রোহিঙ্গা নাগরিককে দর্জিপাড়া থেকে বিজিবির মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে উদ্ধার আমাদের ইউনিয়ন পরিষদে হেফাজতে রাখা হয়। তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সিদ্দিকী বলেন, মেয়েগুলো ইউনিয়নে বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আরটিভি/এমকে-টি
পঞ্চগড়ে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে দুইজনের বয়স আঠারো বছরের কম।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ (২০), নাহিদ হাসান (১৭), রেদোয়ান হোসেন রতন (১৭), সাব্বির হোসেন (১৯)। শনিবারই অভিযুক্তদের রিমাণ্ডে চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, অভিযুক্ত ছয় থেকে সাত জন দল বেঁধে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের আটকে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী গত ৫ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়াতে আসেন। সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া বাজার থেকে দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় দর্জিপাড়া গ্রামের বুড়াঠাকুরের আস্তানায়। সেখানে একটি ঘরে রাতে আব্দুল্লাহসহ দুজন তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে দর্জিপাড়া ফরেস্টে নিয়ে আব্দুল্লাহ, নাহিদ, রতন ও সাব্বিরসহ ছয় থেকে সাত জন ওই প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। পুলিশ সুপার বলেন, পরের দিন স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়। ওই রাতেই বিজিবির সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ভুক্তভোগীর চাচা নিরঞ্জন চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার চার জনসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ সুপার আরও বলেন, যৌথ অভিযানে দ্রুত ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করে রিমাণ্ড চাওয়া হবে।  একই সঙ্গে অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লাহ, তেতুঁলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।