লিবিয়ায় মানবপাচার মামলার যে ৬ পলাতক আসামির সন্ধান চেয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি হয়েছিল, তাদের ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে মাদারীপুরের শাহাদাত হোসেনকে (২৯) রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে কিশোরগঞ্জের জাফর ইকবাল (৩৮) গ্রেপ্তার হয়েছে ইতালি পুলিশের হাতে। সেখান থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোকে (এনসিবি) বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিসি শহীদুল্লাহ শুক্রবার বলেন, এক নারীকে ভারতে পাচারের অভিযোগে দক্ষিণখান থানায় শাহাদাতের বিরুদ্ধে ১টি মামলা হয়েছিল। সে মামলায় কয়েকদিন আগে শাহাদাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে। এই শাহাদাত হোসেনের নামেই যে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে, তা প্রথমে জানা ছিল না। বিষয়টি পরে বুঝতে পেরেছি আমরা।
ইন্টারপোলের সঙ্গে ঢাকায় কাজ করা বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সহকারী মহাপরিদর্শক মহিউল ইসলাম বলেন, ইতালি পুলিশের এনসিবি ১০ জানুয়ারি এক চিঠিতে জাফরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছে। ইতালির কোসেঞ্জা শহর থেকে জাফরকে গ্রেপ্তারের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। পুলিশ কর্মকর্তা মহিউল ইসলাম বলেন, ৪০ কার্যদিবসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ করার কথা রয়েছে।
গত বছর মে মাসে লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানব পাচারকারীদের গুলিতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দেশে যে মামলা হয়েছিল, শাহাদাত ও জাফর সেই মামলার আসামি। তাদের পাশাপাশি মিন্টু মিয়া, স্বপন, নজরুল ইসলাম মোল্লা, ও তানজিরুল নামের আরও ৪জন ‘মানব পাচারকারীকে’ ধরিয়ে দিতে সিআইডি গত নভেম্বরে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে।
লিবিয়ার মিজদাহতে বাংলাদেশিদের হত্যা, মুক্তিপণ আদায় ও নির্যাতনের ঘটনায় সিআইডি বাদী হয়ে পল্টন ও বনানীতে ৩টি মামলা দায়ের করেছিল। এর বাইরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আরও ২৩টি মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে সিআইডি মোট ২৫টি মামলার তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।
কেএফ