ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয় দুটি মামলা দায়ের করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় দুটি মামলায় অজ্ঞাত ৪-৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হরতালে বাধা দিলে লাগাতার কর্মসূচির হুমকি হেফাজতের
এছাড়াও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আটক ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও ভাদুঘর সিরাজুল উলুম মাদরাসার ছাত্ররা। তারা জেলা সদরের ভাদুঘর এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুনঃ হেফাজতের বিক্ষোভ: বায়তুল মোকাররমে যা বললেন মামুনুল হক
এরপর বিকেল ৪টায় বিক্ষুব্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পরে তারা বিকেল ৫টায় রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনায় ৭ ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
এছাড়াও এসময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
কেএফ/পি