ঢাকাসোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২

১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্কুলশিক্ষিকা আটক

পাবনা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ০৯:০৬ পিএম


loading/img
সীমা আক্তার

হালাল উপার্জনের প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে মোছা. সীমা আক্তার (৪০) নামের এক বেসরকারি স্কুল শিক্ষিকাকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় প্রতারণার শিকার হওয়া ভুক্তভোগীরা ওই নারীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতারক সীমা আক্তার পাবনা পৌর এলাকার পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার শিক্ষিকা এবং আটুয়া হাউজপাড়া মহল্লার মৃত হানিফুল ইসলামের স্ত্রী।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীমা আক্তারকে পুলিশ আটক করে এবং বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগীরা আরটিভি নিউজকে জানান, সীমা আক্তার সাধারণ মানুষকে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক গরুর খামার ব্যবসাসহ নানা ধরনের হালাল উপার্জনের কথা বলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তিনি শুধু সাধারণ মানুষকেই নয়, বোকা বানিয়েছেন নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাধিক শিক্ষক, পুলিশ সদস্যদেরও। মানুষ তার কথায় বিশ্বাস করে লাভের আশায় তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অর্থ বিনিয়োগ করেন। লাভের অংক বেশি হওয়ায় লোভে পরে অনেকেই সেখানে অর্থ বিনিয়োগ করেন। প্রথম পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সময় মতো তাদেরকে লাভের টাকা বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ভালো মানুষের রূপ নিতেন। কিন্তু পরবর্তীতে টাকার অংক বেড়ে গেলে তিনি সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দেন।

তারা আরও জানান, মাসিক লভ্যাংশ নিতে এসে অনেকেই সীমা আক্তারকে না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। লাভের আশায় তারা এখন সহায় সম্বল বিক্রি করে টাকা লগ্নি করে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। শিক্ষিকা সীমা অনেকের কাছ থেকে  চেক ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমে অর্থ নিয়েছেন। সীমার প্রতারণা বুঝতে পেরে ভুক্তভোগীরা পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর পাবনা পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতারক সীমা আক্তারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে সীমা আক্তারের সাথে কথা হলে তিনি ব্যবসার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তবে তিনি মানুষের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। অভিযোগের বিষয়ে প্রতারক মোছা: সীমা আক্তার আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘আমার কোনো বৈধ ব্যবসা নাই। একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আরেকজনকে দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। পুলিশ সীমা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। অনেকেই তার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ নিয়ে এসেছেন। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এনএইচ/এমএন

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |