মোবাইল অ্যাপ ও ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করে তিনগুণ লাভ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করছেন একটি চক্র। এই চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সিআইডির সদর দপ্তরে অতিরিক্ত ডিআইজি (ঢাকা মেট্রো) ইমাম হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, চক্রটি মোবাইল অ্যাপস ও ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে অবৈধভাবে এমএলএম ব্যবসা করে আসছিল। মানুষকে অধিক লাভের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিকাশ ও নগদের মতো ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
অনেক ভুক্তভোগী সিআইডিতে অভিযোগ করেছেন। সিআইডি দীর্ঘদিন বিষয়টি মনিটর করে চক্রের মূলহোতা মো. মাহাদী হাসান মল্লিক, মিজানুর রহমান ওরফে ব্রাভো মিজান ও মো. আবুল হোসেন পুলকসহ সাতজনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা হলেন, মো. মহিউদ্দিন জামিল (৩৮), মো. সাইফুল ইসলাম আকন্দ (৪২), মো. কভেজ আলী সরকার (৩৫) ও মো. শাহানুর আলম শাহীন (৪২)।
ইমাম হোসন বলেন, আসামিরা প্রথমে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় আগ্রহীদের ভরপেট খাওয়াতো। এরপর চটকদার অফারের কথা বলে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতো। হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারে গ্রুপ তৈরি করে প্রচারণা চালাতো সারাদেশে। সেখানে তারা এমএলএম কোম্পানির অ্যাপের লিংক পাঠাতো।
আনজাম গ্লোবাল লিমিটেড ও পিপিসি গ্লোরি ডটকম নামের দুটি এমএলএম কোম্পানি চালু করে দেশের অন্তত ১৫-২০ হাজার মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছে চক্রটি।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৯টি মোবাইল, ২০টি সিমকার্ড, একাধিক ব্যাংকের চেক বই, এটিএম কার্ড, নগদ ৬২ হাজার টাকা ও বেশ কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
এফএ/এসকে